Onlooker desk: এক ধাক্কায় দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে মাথাপিছু মৃত্যুহারে গোটা দুনিয়ায় এক নম্বরে চলে এল পেরু।
প্রেসিডেন্টের প্যালেস থেকে সোমবার জানানো হয়েছে, গত বছরের মার্চ থেকে এ বছর ২২ মে পর্যন্ত কোভিডে ১ লক্ষ ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন। এতদিন জানানো হচ্ছিল, মোট মৃত্যু ৬৯ হাজার ৩৪২। করোনায় মৃত্যু ঘোষণার বিধিতে বদল আনায় মৃত্যুর সংখ্যা এতখানি বাড়ল বলে জানিয়েছেন পেরুর স্বাস্থ্যমন্ত্রী অস্কার উগার্তে। তিনি বলেন, ‘এতদিন আরটিপিসিআর টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ না এলে সেই মৃত্যু করোনায় হয়েছে বলে ধরা হতো না। কিন্তু এখন অন্যান্য উপসর্গও যুক্ত করা হয়েছে।’
দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশের যে গবেষক দল করোনায় মৃত্যুর কারণ বিশ্লেষণের সঙ্গে জড়িত, সেই দলের অন্যতম সদস্য মাতেও প্রোচাজকা বলেন, ‘আরটিপিসিআর, র্যা পিড অ্যান্টিজেন, সেরোলজিক্যাল এবং রেডিয়োলজিক্যাল ও এপিডেমিয়োলজিক্যাল — এই চার ধরনের টেস্টের ফলাফল দেখে করোনায় মৃত্যুর বিষয়টি স্থির করা হচ্ছে। যার জেরে এই ভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা একলাফে এতখানি বেড়ে গেল।’
লাতিন আমেরিকান দেশের মধ্যে করোনায় সামগ্রিক ভাবে মৃত্যুর নিরিখে এতদিন ব্রাজিল ও মেক্সিকো পেরুকে টক্কর দিচ্ছিল। কিন্তু পেরুর যা জনসংখ্যা তাতে এই ১ লক্ষ ৮০ হাজারের বেশি মৃত্যু সে দেশে মাথাপিছু মৃতের সংখ্যায় গোটা পৃথিবীকে টক্কর দিচ্ছে বলে জানাচ্ছে জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটি। এতদিন এই হার সবচেয়ে বেশি ছিল হাঙ্গেরিতে। সেখানে প্রতি এক লক্ষে ৩০০ জনের মৃত্যুর হিসাব পাওয়া যাচ্ছিল। সে জায়গায় পেরুতে প্রতি এক লক্ষে ৫০০-রও বেশি মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।
করোনায় পেরুর অবস্থা শোচনীয়। কবরস্থানে জায়গা নেই। আস্থায়ী মর্গ তৈরির জন্য হাসপাতালগুলি বড় বড় রেফ্রিজারেটর কিনছে। এই পরিস্থিতিতে তথ্য গোপন করার কার্যত কোনও উপায়ও ছিল না। প্রধানমন্ত্রী ভায়োলেটা বারমুডেজ সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘এই নতুন তথ্য সকলকে জানানো দরকার বলে আমাদের মনে হয়েছে।’
ব্রাজিলের মহামারী বিশেষজ্ঞ, চিকিৎসক জুলিও পন্সে সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘পর্যাপ্ত টেস্টিংয়ের সুযোগ না থাকলে যারা কেবল পজিটিভ হচ্ছে, তাদের মৃত্যু দিয়ে পরিসংখ্যান হিসাব করা ঠিক নয়। কারণ তার বাইরে বিপুল সংখ্যক মানুষ থেকে যেতে বাধ্য।’
একলাফে মৃত্যু ১ লক্ষ ৮০ হাজারের বেশি, পাথাপিছু মৃত্যুহারে সকলকে টপকে গেল পেরু
