Onlooker desk: বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিরোধী মতাবলম্বী ও তাঁদের পরিবারের খোঁজ চালাচ্ছে তালিবান (Taliban)। রাষ্ট্রপুঞ্জের (United Nations) একটি গোয়েন্দা নথিতে এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। যার জেরে আরও বেশি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন আফগান নাগরিকরা।
অথচ তালিবান লাগাতার মানবিকতার কথা বলে চলেছে। গত রবিবার কাবুল দখল করার পর তারা জেনারেল অ্যামনেস্টি বা সকলকে ক্ষমা করার কথা জানিয়েছে। সেই সূত্রে সরকারি কর্মচারীদেরও কাজে ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামিক এই জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্যরা।
মহিলাদেরও অধিকার রক্ষার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছে তারা। তাদের ১৯৯৬-২০০১ এর শাসনকালের তুলনায় এখন অনেক বেশি ‘ইতিবাচক পরিবর্তন’ দেখা যাবে বলেও তালিবানের (Taliban)দাবি।
অথচ তাদের এত ‘অভয়’ সত্ত্বেও দলে দলে লোক আফগানিস্তান ছেড়ে পালাচ্ছে। প্লেনের চাকায়, ডানায় চড়ে হলেও দেশ ছাড়তে মরিয়া আফগান নাগরিকরা। তার মধ্যেই রাষ্ট্রপুঞ্জের (United Nations) এই রিপোর্টে তাদের ত্রাসের কারণও অনেকখানি বোঝা গিয়েছে।
রাষ্ট্রপুঞ্জের (United Nations) ‘থ্রেট অ্যাসেসমেন্ট কনসালট্যান্ট’দের তৈরি একটি গোপন নথিতে উঠে এসেছে নিশানা করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হানাদারির চিত্র। যাঁরা মার্কিন বা ন্যাটো বাহিনীর সঙ্গে কাজ করেছেন, টার্গেট লিস্টে মূলত তাঁরা ও তাঁদের পরিবার।
রিপোর্টটি রাষ্ট্রপুঞ্জের (United Nations) জন্য তৈরি করেছে নরওয়েজিয়ান সেন্টার ফর গ্লোবাল অ্যানালিসেস। কাবুল বিমানবন্দরের পথে কেউ যেতে চাইলে তাঁদেরও তল্লাশি করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে রিপোর্টে।
ওই কেন্দ্রের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর ক্রিশ্চিয়ান নেলেম্যান একটি সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘যে সব পরিবার ওদের কাছে নতিস্বীকার করছে না, তাদেরই নিশানা করছে তালিবান (Taliban)। শারিয়া আইনের নানা ধারায় তাদের শাস্তি দিচ্ছে। আমাদের আশঙ্কা, এই পরিবারগুলির উপরে নৃশংস অত্যাচার চালিয়ে তাদের খুন করবে তালিবান।’
তালিবান অবশ্য এ পর্যন্ত এমন যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বিবৃতি জারি করে তারা দাবি করেছে, কারও বাড়িতে ঢুকতে কঠোর ভাবে নিষেধ করা হয়েছে তাদের সদস্যদের।
তাদের আরও দাবি, নতুন পর্বে মহিলা ও সাংবাদিকদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। যদিও কাবুলে বিশৃঙ্খলার ছবি তুলতে গিয়ে লাঠি, চাবুকের ঘা খেতে হয়েছে বলে অনেক সাংবাদিকের দাবি। তালিবানের প্রথম দফার শাসনকালে (১৯৯৬ থেকে ২০০১) মহিলাদের বাড়ির বাইরে বেরোনো ছিল নিষিদ্ধ। পড়াশোনা, কাজের অধিকার সব কেড়ে নেয় তালিবান। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লে পাথর ছুড়ে হত্যা করা হত। গানবাজনা ও টেলিভিশনও ছিল নিষিদ্ধ জিনিসের তালিকায়।
তার ২০ বছর পরে ফের মসনদ দখলের পরেও দেখা যাচ্ছে বিন্দুমাত্র বদলায়নি তালিবান (Taliban)। সরকারি টেলিভিশন স্টেশন আরটিএ টিভির পরিচিত সাংবাদিক শবনম দওরান সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট দেন। জানান, তাঁকে অফিসে যেতে বারণ করা হয়েছে। এবং পদে পদে তাঁদের জীবনের ঝুঁকি। যে পুরুষ সহকর্মীদের পরিচয়পত্র রয়েছে, তাঁরা অফিসে ঢুকতে পারছেন। অথচ পদ্ধতি বদলে গিয়েছে জানিয়ে তাঁকে অফিসে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
Theonlooker24x7.com–র সব খবরের নিয়মিত আপডেট পেতে লাইক করুন ফেসবুক পেজ ও ফলো করুন টুইটার।