Onlooker desk: কোভিডের উৎস জানা না গেলে ভবিষ্যতে অতিমারীর একের পর এক ঢেউ আসবে বলে সতর্ক করলেন মার্কিন দুই বিশেষজ্ঞ। এ জন্য চিন সরকারের সহযোগিতাও চেয়েছেন তাঁরা।
ট্রাম্প প্রশাসনের তৎকালীন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের কমিশনার এবং বর্তমানে ফাইজারের বোর্ড সদস্য, স্কট গটলিব জানিয়েছেন, চিনের উহানের একটি গবেষণাগার থেকেই করোনা ছড়িয়ে পড়ার তত্ত্ব ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। একটি সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘এই তত্ত্বকে খারিজ করার মতো তথ্য-প্রমাণ চিন দেয়নি। আর বন্যপ্রাণীদের থেকে ভাইরাস ছড়ানোর প্রমাণ এখনও মেলেনি।’
উৎস জানা না-গেলে একের পর এক ঢেউয়ে গোটা বিশ্ব বিপর্যস্ত হবে বলে জানিয়েছেন টেক্সাস চিলড্রেন’স হসপিটাল সেন্টার ফর ভ্যাকসিন ডেভেলপমেন্ট-এর যুগ্ম অধিকর্তা পিটার হোটেজও। অন্য একটি সংবাদমাধ্যমে তাঁর বক্তব্য, ‘কোভিড ১৯-এর প্রকৃত উৎস জানা না-গেলে কোভিড-২৬ , কোভিড-৩২ ও হবে।
বছর দেড়েকেরও বেশি সময় আগে উহানের মাছ বাজারে করোনার প্রথম হদিস মেলার পর আজও তার প্রকৃত উৎস অধরা। বিজ্ঞানীদের অনুমান, বন্যপ্রাণীদের শরীর থেকে মানুষের মধ্যে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে। কিন্তু আমেরিকায় রিপাবলিকানরা বরাবরই উহানের ল্যাবরেটরি থেকে তা লিক হয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন। জো বাইডেন প্রশাসনে সেই তত্ত্ব নতুন করে জোরালো মাত্রা পেয়েছে। গত বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ভাইরাসের উৎস সন্ধান করে জানানোর জন্য ৯০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলিকে এ জন্য দ্বিগুণ উদ্যোগী হতে বলেছেন তিনি।
গত ২৩ মে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের একটি রিপোর্টে ভাইরাসের উৎস সন্ধানে ঘি পড়ে। সেখানে জানানো হয়, ২০১৯-এর নভেম্বরে চিনের উহান ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির তিন গবেষক অসুস্থ হয়ে পড়েন। ‘কোভিড-১৯ এর উপসর্গ ও সাধারণ মরসুমি অসুস্থতার’ কারণে হাসপাতালে ভর্তি হন তাঁরা।
এ কারণেই মানুষ ও পশুর শরীর থেকে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে দীর্ঘমেয়াদি তদন্তে চিনের সহযোগিতা প্রয়োজন বলে মনে করেন হোটেজ। এ জন্য প্রয়োজনে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে চিনকে আমেরিকার চাপে ফেলা উচিত বলে তাঁর মত। হোটেজের কথায়, ‘চিনের হুবেই প্রদেশে অন্তত ছ’মাস বিজ্ঞানী, মহামারী বিশেষজ্ঞ, ভাইরাস বিশেষজ্ঞ, বাদুড় বিশেষজ্ঞদের তদন্ত চালাতে সাহায্য করা উচিত চিনের।’
চিন অবশ্য বরাবরই উহানের ল্যাব-তত্ত্ব উড়িয়ে দিয়েছে। এ ভাবে রাজনৈতিক প্যাঁচ কষে তাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করে অকারণ দোষ চাপানো হচ্ছে বলে গত বৃহস্পতিবারই মন্তব্য করেছিলেন চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান।
উৎস না জানলে কোভিড ১৯-এর মতো কোভিড-৩২ আসবে, মত বিশেষজ্ঞদের
