Onlooker desk: এখনই হয়তো ভারতে আনা যাবে না পলাতক ব্যবসায়ী মেহুল চোকসিকে। ডমিনিকার একটি কোর্ট তাঁর প্রত্যর্পণে স্থগিতাদেশ জারি করেছে।
ভারতে প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে তা শোধ না-করে ২০১৮-য় অ্যান্টিগায় পালিয়ে যান চোকসি। সেখানেই ছিলেন এতদিন। কিন্তু নিরাপদ আস্তানা ক্রমশ বিপজ্জনক হয়ে উঠছে বুঝতে পেরে গত রবিবার রাতে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার নাম করে বেরিয়ে নৌকা করে ডমিনিকায় পালিয়ে যান বছর ৬২-র এই হিরের গয়নার ব্যবসায়ী। উদ্দেশ্য ছিল কিউবা পৌঁছনো। কারণ কিউবার সঙ্গে ভারতের প্রত্যর্পণ চুক্তি নেই।
ইতিমধ্যে বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় ইন্টারপোলর মাধ্যমে নোটিস জারির ব্যবস্থা করে অ্যান্টিগা। সেই নোটিসের সূত্রে ডমিনিকায় গ্রেপ্তার করা হয় চোকসিকে। ডমিনিকা তাঁকে অ্যান্টিগায় পাঠানোর তোড়জোড় করলেও অ্যান্টিগার প্রধানমন্ত্রী গ্যাস্টন ব্রাউন জানিয়েছেন, সে দেশে তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। সরাসরি ফেরত পাঠানো হোত ভারতে।
কিন্তু এখানেই হোঁচট খেতে হচ্ছে। চোকসির লিগ্যাল টিম ডমিনিকায় একটি আবেদন দাখিল করে জানায়, তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেওয়া হচ্ছে না। ঋণখেলাপি ব্যবসায়ীর শরীরে ‘নির্যাতনে’র চিহ্ন আছে বলেও দাবি করা হয়। ডমিনিকায় চোকসির আইনজীবী ওয়েন মার্শ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘ওঁকে প্রচণ্ড মারধর করা হয়েছে। চোখ ফুলে গিয়েছে। সারা শরীরে পোড়া দাগ। উনি জানিয়েছেন, অ্যান্টিগার জলি হারবার থেকে অপহরণ করে ৬০-৭০ ফুট লম্বা একটি নৌকায় তাঁকে ডমিনিকায় নিয়ে আসে ভারতীয় ও অ্যান্টিগান পুলিশ।’
এ দিকে, ভারত সরকার জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে গা-ঢাকা দেওয়া এই ব্যবসায়ীকে কূটনৈতিক পদ্ধতি ব্যবহার করে দেশে ফিরিয়ে আড়া হবে। এখানে তাঁর বিরুদ্ধে পাঞ্জাব নাশনাল ব্যাঙ্কের প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকার ঋণ প্রতারণার মামলা রয়েছে। ভুয়ো নথি দিয়ে ওই ঋণ নেওয়ার মামলায় চোকসির ভাগ্নে নীরব মোদীও অভিযুক্ত। তিনি লন্ডনে জেলে বন্দি।
মেহুল চোকসির প্রত্যর্পণে স্থগিতাদেশ ডমিনিকার কোর্টে, নতুন জটিলতা
