Onlooker desk: বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি টিকা উৎপাদনের ক্ষমতা আছে ভারতের। অথচ ভয়াবহ দ্বিতীয় ঢেউয়ের মুখে সেই দেশেরই জনগণের জন্য পর্যাপ্ত টিকার সংস্থান নেই।
ভারত সরকার এ পর্যন্ত কোভিড টিকার অন্তত ২০৫৫ লক্ষ ডোজ কিনেছে। বিশ্বের প্রথম ১০ টিকা আমদানিকারক দেশগুলির একটু হিসাবে জায়গাও করে নিয়েছে। কিন্তু এতে দেশের মোট জনসংখ্যার মাত্র ৮ শতাংশ টিকা পাবে।
দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের হিসাব অনুযায়ী, মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশবাসীকে ১৪৭৭ লক্ষ ভ্যাকসিন ডোজ দেওয়া গিয়েছে। শুধু ওই দিনেই টিকা দেওয়া হয় ২৪ লক্ষ। শুনতে বা সংখ্যার নিরিখে এই হিসাব যথেষ্ট মনে হলেও আদতে তা নয়। মাথা পিছু টিকাকরণে ভারত অনেক পিছিয়ে। আমেরিকায় যেখানে ১০০ মানুষ পিছু ৬৯ ডোজ টিকা দেওয়া হয়, ভারতে সেই সংখ্যাটা ১১।
বর্তমানে ভারতে সিরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড এবং ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন দেওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি রাশিয়ার স্পুটনিক ভি ছাড়পত্র পেয়েছে। সেই টিকা আমদানি হচ্ছে।
অথচ করোনা মহামারীর আগে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন টিকার ৬০ শতাংশ উৎপাদন করত ভারত। সিরাম ইনস্টিটিউটের মতো বিশ্বের বৃহত্তম ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থা এ দেশের। সেই কারণে তুলনায় দরিদ্র দেশগুলিতে টিকা সরবরাহের আন্তর্জাতিক উদ্যোগ কোভ্যাক্সে অন্যতম বড় অংশীদার হিসাবে স্বীকৃতি পায় ভারত। গত বছরের প্রাথমিক চুক্তি অনুযায়ী ৯২টি দেশে পাঠানোর জন্য সিরামের ২ হাজার লক্ষ ডোজ ভ্যাকসিন তৈরির কথা ছিল।
কিন্তু দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেসামাল দেশ অন্যত্র ভ্যাকসিন পাঠানো তো দূর, নিজেদের সব নাগরিককেই টিকা দিতে নাকাল। শনিবার ১৮-র বেশি সকলকে টিকা দেওয়ার উদ্যোগ শুরু হলেও বহু রাজ্যই জানিয়েছে, পর্যাপ্ত টিকা তাদের নেই।