Onlooker desk: প্রাতরাশ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী। পুলিশ জানিয়েছে, করদাতাদের অর্থে তাঁর প্রাতরাশে বেআইনি ভাবে ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে কি না, সেটা তদন্ত করে দেখা হবে।
কেন আচমকা প্রাতরাশ নিয়ে এই গোলমাল? গত মঙ্গলবার একটি সংবাদপত্রে খবর বেরোয়, প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন সরকারি বাসভবনে তাঁর ও তাঁর পরিবারের জন্য মাসে ৩০০ ইউরো বা ৩৬৫ ডলার (২৬ হাজার ৪২৪ টাকা) বিল করছেন। বিরোধীরা এ নিয়ে সরব হলেও বছর পঁয়ত্রিশের প্রধানমন্ত্রীর দাবি, তাঁর পূর্বসুরিদেরও এই টাকা দেওয়া হতো। টুইটারে তিনি লিখেছেন — প্রধানমন্ত্রী হিসাবে আমি এই সুবিধা দিতে বলিনি। এর অঙ্কও আমি স্থির করিনি। তবে আইনজ্ঞদের মতে, এ ভাবে করদাতাদের টাকায় প্রধানমন্ত্রীর ব্রেকফাস্টের খরচ চালানো ফিনল্যান্ডের আইনের পরিপন্থী হতে পারে।
প্রাথমিক ভাবে শুক্রবার বিষয়টি খতিয়ে দেখে পুলিশ। প্রধানমন্ত্রীর কিছু মিলের টাকা তাঁকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে তদন্তকারীরা জানিয়েছন। কিন্তু আইনে এর সম্মতি নেই বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে পুলিশ। তবে এই তদন্তে প্রধানমন্ত্রী কিংবা তাঁর কাজকর্ম নয়, বরং তাঁর অফিসের আধিকারিকদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হবে। তদন্তকে স্বাগত জানিয়েছেন সানা।
২০১৯-এ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন তরুণী সানা। জনগণের মধ্যে তাঁর জনপ্রিয়তাও তুঙ্গে। অতিমারীকালে ফিনল্যান্ডে করোনার সংক্রমণে নিয়ন্ত্রণে রাখার সাফল্যও অনেকাংশে তাঁকে দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রীর ব্রেকফাস্টের বিল ৩৬৫ ডলার! তদন্তে নামছে পুলিশ

ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন