Onlooker desk: অবশেষে শান্তি। মিশরের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি হলো ইজরায়েল এবং হামাসের।হামাস অবশ্য জানিয়েছে, তাদের হাত বন্দুকেই আছে। প্রয়োজনে ফের তা চলবে। পাশাপাশি দাবি, এইযুদ্ধে জয় হয়েছে তাদেরই। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সংঘর্ষ বিরতির কথা ঘোষণা হতেই উল্লাস, উৎসবেমেতে ওঠেন দু’দেশের, বিশেষত গাজার বাসিন্দারা। পথে নেমে উদযাপন শুরু করেন তাঁরা।প্যালেস্তাইনের পতাকা ওড়ানো হয়। মসজিদের লাউডস্পিকারে ‘দখলদারিকে পরাজিত করে প্রতিরোধেরজয়ের’ কথা ঘোষণা করা হয়।
গত বেশ ক’বছরের মধ্যে গত এক বছরে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর যুদ্ধ দেখেছে ইজরায়েল–প্যালেস্তাইন।ইজরায়েলের আকাশ হামলায় ঘন বসতিপূর্ণ প্যালেস্তাইনে ২৩২ জন মারা গিয়েছেন। ইজরায়েলে মৃত১২। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিশুরা।
বৃহস্পতিবার যুদ্ধবিরতির ঘোষণার সময়েও প্রস্তুত ছিল দু’পক্ষ। কোনও এক পক্ষ চুক্তি লঙ্ঘন করলেইপাল্টা দেওয়ার জন্য রেডি। কিন্তু কায়রো জানায়, সংঘর্ষ বিরতিতে নজর রাখতে দু’টি প্রতিনিধি দলপাঠাবে তারা। অবশেষে মধ্যস্থতায় সাড়া দেয় দুই দেশই।
সংঘর্ষের সূত্রপাত গত ১০ মে। জেরুসালেমে ইজরায়েল তাদের অধিকার খর্ব করছে বলে অভিযোগপ্যালেস্তাইনের। সেই থেকে ক্ষোভ ও ভয়াবহ সংঘর্ষের সূত্রপাত। যার জেরে এ বছর গাজায় বহু মানুষ ঈদপর্যন্ত পালন করতে পারেননি। কারণ তখন প্রবল উত্তেজনা। বৃহস্পতিবার শান্তি ফেরার পর ঈদের ভোজসারেন অনেকে। অন্যদিকে, যে ইজরায়েলে গত ক’দিনে রেডিয়োয় সংবাদ ও ধারাভাষ্য ছাড়া কিছু শোনাযায়নি, সেখানে ফিরে এসেছে পপ ও লোকসঙ্গীত।
এরই মধ্যে জয়ের দাবি করে হাজার হাজার উদযাপনকারী শ্রোতাকে হামাসের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড খলিলআল হাইয়া বলেন, ‘এটাই হলো জয়ের নেশা।’ ইজরায়েলের বিমান হামলায় যাঁদের বাড়িঘর ভেহেগিয়েছে, তাঁদের ফের তা তৈরি করে দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।