Onlooker desk: অলিম্পিক্সের আর সপ্তাহদুয়েক বাকি। আগামী ২৩ জুলাই উদ্বোধন। তার আগে টোকিওতে ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছে কোভিড-১৯ এর কেস। গত দু’মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যায় পৌঁছেছে সংক্রমণ। যার জেরে জরুরি অবস্থা ঘোষণার পথে জাপানি সরকার। সেই ইমার্জেন্সি অলিম্পিক্সের সময়েও থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটির (আইওসি) প্রেসিডেন্ট থমাস বাখের আজ, বৃহস্পতিবারই টোকিও পৌঁছনোর কথা। পৌঁছনোর পরে তাঁকে আইওসি-র পাঁচতারা হোটেলে তিন দিন আইসোলেশনে থাকতে হবে।
নতুন করে ইমার্জেন্সি জারি হলে তার প্রভাব কী হবে? তাতে স্থানীয় ক্রীড়াপ্রেমীদেরও স্টেডিয়ামে ঢোকা নিষিদ্ধ হতে পারে। কাল, শুক্রবার স্থানীয় আয়োজকদের সঙ্গে আইওসি ও অন্যদের বৈঠক হওয়ার কথা। তখনই ভক্তদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
বর্তমানে আংশিক ভাবে জরুরি অবস্থা জারি রয়েছে জাপানে। কিন্তু বুধবার কেবল টোকিওতেই নতুন করে ৯২০টি সংক্রমণের খবর মিলেছে। গত বুধবার তা ছিল ৭১৪। গত ১৩ মে ১,০১০টি সংক্রমণের হদিস মিলেছিল। তারপরে সর্বাধিক কেসের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে বুধবারই।
করোনাভাইরাসে লাগাম পরাতে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা। আগামী ২২ এগস্ট পর্যন্ত ইমার্জেন্সি জারি করার কথা ভাবা হচ্ছে। অলিম্পিক্স চলবে ৮ অগস্ট পর্যন্ত।
সুগা অবশ্য এ বিষয়টি নিশ্চিত করেননি। কিন্তু টোকিওতে যে সংক্রমণ হু হু করে বাড়ছে, সে কথা স্বীকার করেন। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘সংক্রমণে রাশ পরাতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ করা হবে।’ এ ব্যাপারে শীঘ্রই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।
কয়েক মাস আগেই ভিনদেশি ক্রীড়াপ্রেমীদের অলিম্পিক্সে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু এখন যে হারে সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে শূন্য স্টেডিয়ামেই খেলা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে স্পনসর ও অন্যরা ঢুকতে পারবেন। ১.৪ বিলিয়ন ডলারের ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানও দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামেই হতে পারে।
সরকারের অন্যতম শীর্ষ মেডিক্যাল আধিকারিক, ডঃ শিগেরু ওমি বলেন, ‘সংক্রমণ ক্রমশ বাড়ছে। দেশের প্রতিটি নাগরিকের পরিস্থিতির ভয়াবহতা অনুধাবন করা উচিত।’ সামনেই গ্রীষ্মের ছুটি। তা ছাড়া অলিম্পিক্স তো আছেই। সে কারণে যত দ্রুত সম্ভব কঠোর পদক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার কথা বলেন ওই আধিকারিক। ওমির কথায়, ‘জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় জাপানে করোনার পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক হবে।’
টোকিওর গভর্নর ইউরিকো কোইকে সাংবাদিকদের জানান, টোকিও-তে ফের ইমার্জেন্সি ঘোষণার পথে সরকার। গত বছর অতিমারী পরিস্থিতির শুরু থেকে এ নিয়ে এ পর্যন্ত চারটি ইমার্জেন্সি জারি হবে।
অলিম্পিক্স এ বার অনেকখানি জোর করেই আয়োজিত হচ্ছে। গত বছর থেকে পিছিয়ে যাওয়ায় ১৫ মাস ধরে আইওসি-র উপার্জন থমকে রয়েছে। অলিম্পিক্স বাতিল হলে ৩ থেকে ৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হতে পারে।
হু-হু সংক্রমণ বৃদ্ধিতে ফের ইমার্জেন্সি টোকিও-তে, দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে অলিম্পিক্স

ছবি টুইটার