Onlooker desk: অ্যান্টিগা থেকে তাঁকে অপহরণ করে ডমিনিকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছেন পলাতক হিরে ব্যবসায়ী মেহুল চোকসির আইনজীবীরা। এই ঘটনায় জড়িতদের নামও তাঁরা জানিয়েছেন। বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে এবং এর তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন অ্যান্টিগার প্রধানমন্ত্রী গ্যাস্টন ব্রাউন। তাঁর কথায়, ‘তাঁকে অপহরণ করা হয়েছিল জানিয়ে অ্যান্টিগা ও বারবুদার পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন চোকসি। পুলিশ এই অভিযোগকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে এবং অপহরণের মামলার তদন্ত করছে।’
অন্য একটি সংবাদে জানা গিয়েছে, ডমিনিকার বিরোধী নেতা লেনক্স লিন্টন যে দাবি করেছিলেন, গত ২৩ মে রাত ১০টায় একটি ইয়টে করে ১৪ হাজার কোটি টাকা ঋণখেলাপি ওই ব্যক্তিকে ডমিনিকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কারণ চোকসির পরিবারের দাবি, তিনি ২৩ মে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত অ্যান্টিগায় ছিলেন। তার পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে ১২০ মাইল দূরত্ব পেরিয়ে ডমিনিকায় পৌঁছনো কোনও ভাবেই সম্ভব নয়। তা হলে রাত ১০টায় তিনি ডমিনিকা পৌঁছলেন কী ভাবে! লিন্টন যে বিলাসবহুল তরীর কথা বলছেন, সেটি ২৩ মে অ্যান্টিগা ছেড়েছিল সকাল ১০টায়। আর চোকসির গৃহ সহায়কদের দাবি, তিনি সে দিন বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত বাড়িতেই ছিলেন। তার মানে, ওই নৌকায় চোকসির পক্ষে ডমিনিকা পৌঁছনো সম্ভব নয়। এ ছাড়া, যে ডমিনিকা চায়না ফ্রেন্ডশিপ হসপিটালে তিনি ভর্তি, সেখানকার চিকিৎসকদের দাবি, তাঁর আইনজীবীরা একটি নখের আঘাতের কথা বলছেন। কিন্তু সেটি পুরোনো। আর শরীরে যে আঘাতগুলির কথা বলা হয়েছে, সেগুলি সামান্য ধাক্কাধাক্কি থেকেও হতে পারে। তা থেকে মারধরের কথা প্রমাণিত হয় না।
গত ২৩ মে-ই অ্যান্টিগা থেকে নিখোঁজ হয়ে যান চোকসি। তারপরে ডমিনিকায় খোঁজ মেলে তাঁর। সেই থেকে সেখানেই পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। ভারত থেকে তদন্তকারীদের দল গিয়েও তাঁকে ফিরিয়ে আনতে পারেনি। আপাতত জুলাই পর্যন্ত ডমিনিকায় থাকার কথা তাঁর। আর এরই মাঝে একের পর এক রহস্য দেখা দিচ্ছে ভারতের পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক থেকে ১৪ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে তা শোধ না করে পলাতক ব্যবসায়ীকে ঘিরে।
অ্যান্টিগা থেকে অপহরণ করে ডমিনিকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে: চোকসি, রহস্য বিলাসবহুল তরী ঘিরেও
