Onlooker desk: একটি মেয়েদের স্কুলের সামনে বিস্ফোরণে মৃত্যু হলো অন্তত ৩০ জনের। শনিবার পশ্চিম কাবুলের একটি শিয়া প্রধান এলাকার এই বিস্ফোরণে হতদের অনেকেই ১১ থেকে ১৫ বছর বয়সি স্কুল পড়ুয়া। ঘটনার নিন্দা করে দায় অস্বীকার করেছে তালিবান।
দশ্ত এ বারচি এলাকায় সৈয়দ আল শাহদা স্কুলের কাছে এই বিস্ফোরণ আদতে বহু নাগরিককে হত্যার উদ্দেশ্যেই বলে মনে করছে সরকার। অভ্যন্তরীণ মন্ত্রকের মুখপাত্র তারিক আরিয়ান জানান, হতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
নাসের রাহিমি নামে এলাকার এক বাসিন্দা জানান, শনিবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ যখন মেয়েরা স্কুল থেকে বেরোচ্ছে, সেই সময় তিনটি বিকট শব্দের বিস্ফোরণ শুনতে পান তিনি। যদিও একাধিক বিস্ফোরণের তত্ত্বে সরকার সিলমোহর দেয়নি।
ওই স্কুলের পড়ুয়া, বছর ১৫-র জাহরার কথায়, ‘এক বন্ধুর সঙ্গে স্কুল থেকে বেরোচ্ছিলাম। তখনই বিস্ফোরণ। মিনিট দশেক বাদে পর পর আরও দু’টি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। চারিদিকে তখন শুধু চিৎকার আর রক্ত।’ বোমার টুকরো ছিটকে হাত ভেঙে গিয়েছে জাহরার।
তবে এই কাণ্ড কারা ঘটিয়েছে, তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে। এ পর্যন্ত কেউ বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেনি। ইসলামিক স্টেটের আফগানিস্তান শাখা অবশ্য আগে শিয়া প্রধান এলাকায় হামলা চালিয়েছিল।
আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরফ গনি একটি বিবৃতিতে ঘটনার নিন্দা করে তালিবানকেই দায়ী করেছেন। তালিবান অবশ্য দায় অস্বীকার করে ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছে।
কাবুলে স্কুলের সামনে বিস্ফোরণে মৃত অন্তত ৩০
