Onlooker desk: রাত পোহালেই ঈদ। তার আগে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে (blast) অন্তত ৩৫ জনের মৃত্যু হল বাগদাদের (Baghdad) একটি জনবহুল বাজারে। আহত বহু। উৎসবের আগে কেনাকাটায় ব্যস্ত ছিলেন নাগরিকরা। সেই সময়ে বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে ইরাকের রাজধানী। নিমেষের মধ্যে ছিন্নভিন্ন শরীরের অংশ ছড়ি পড়ে এলাকা জুড়ে। স্তব্ধ হয়ে যায় ক্ষণিক আগের কেনাকাটার ব্যস্ততা ও আনন্দ।
পুলিশ জানিয়েছে, ৬০ জনেরও বেশি মানুষ আহত। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা খুবই সঙ্কটজনক। তাই মৃতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
হতদের মধ্যে মহিলা ও শিশুর সংখ্যা ভালোই। বিস্ফোরণে বেশ কয়েকটি দোকান পুড়ে গিয়েছে।
ঘটনার পরে একটি বিবৃতি জারি করেছে ইরাকের সেনা। তারা জানিয়েছে, সদর সিটির ওয়াহাইলাত বাজারে বিস্ফোরণ (blast) ঘটানো হয়। স্থানীয় স্তরে তৈরি আইইডি দিয়ে এই সন্ত্রাসবাদী হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরাকের ইন্টেরিয়র মিনিস্ট্রি। ঘটনার পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছু ভিডিয়ো ফুটেজ ছড়িয়ে পড়ে। দেখা যায়, সর্বত্র ধ্বংস আর রক্তের চিহ্ন। রক্তাক্ত দেহ পড়ে রয়েছে ছড়িয়ে ছিটিয়ে। আর আর্তনাদ করছেন আতঙ্কিত মানুষ।
ঘটনার দায় স্বীকার করেছে আইএস। নিজেদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে দায় স্বীকার করে পোস্ট দেয় জঙ্গি সংগঠনটি। তারা জানায়, তাদের এক ‘যোদ্ধা’ বাজারের ভিড়ে আত্মঘাতী হামলা চালায়।
ইরাকের প্রেসিডেন্ট বারহাম সালিহ এই বিস্ফোরণকে (blast) ‘ঘৃণ্য অপরাধ’ বলে মন্তব্য করেছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি। টুইটারে তিনি লেখেন — ঈদের আগে সদর সিটিতে সাধারণ নাগরকিদের আক্রমণ করছে ওরা। এক মুহূর্তও মানুষকে আনন্দে থাকতে দেবে না ওরা।
দ্য ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অফ দ্য রেড ক্রসের কথায় — ইরাকের জন্য এ এক মর্মান্তিক ঈদের রাত। যাঁরা নিজেদের প্রিয়জনদের হারালেন, তাঁদের জন্য আমাদের গভীরতম সমবেদনা এবং সহমর্মিতা।
এ বছর এই নিয়ে তৃতীয় বার কোনও জনবহুল বাজারে বোমা বিস্ফোরণ হল। এপ্রিলে সদর সিটিতে গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে অন্তত চার জনের মৃত্যু হয়। বাজারের পার্কিং এরিয়াতে গাড়িতে লাগানো বিস্ফোরক থেকে ওই ঘটনা ঘটেছিল।
সে বার ফেডারেল পুলিশ রেজিমেন্টের কম্যান্ডারকে এ জন্য দায়ী করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মুস্তাফা আল-কাধিমি। তদন্তও শুরু হয়। ২০১৭-র যুদ্ধক্ষেত্রে আইএস পরাজিত হওয়ার আগে বাগদাদে বোমা বিস্ফোরণ ছিল কার্যত প্রতিদিনের ঘটনা।
রোজ না হলেও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেই চলেছে। মধ্য বাগদাদের (Baghdad) একটি জনবহুল এলাকায় জোড়া আত্মঘাতী বিস্ফোরণে ৩০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয় জানুয়ারি মাসে।
Theonlooker24x7.com–র সব খবরের নিয়মিত আপডেট পেতে লাইক করুন ফেসবুক পেজ ও ফলো করুন টুইটার।