Onlooker desk: বিশ্বস্ত অনুচরদের নিয়ে দেশ ছাড়লেন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি (Ashraf Ghani)। কাবুলে তালিবান প্রবেশ করার পরেই ঘানির (Ashraf Ghani) দেশ ছাড়ার খবর পাওয়া যায়। আফগান সংবাদমাধ্যম টোলো নিউজ এই খবর জানায় টুইটারে। তবে ঘানি (Ashraf Ghani) কোথায় গিয়েছেন, সে ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি। প্রেসিডেন্ট পদ থেকে ইস্তফা দিয়েই তিনি দেশ ছাড়েন বলে সূত্রের খবর।
হাই কাউন্সিল ফর ন্যাশনাল রিকনসিলিয়েশন (এইচসিএনআর)-এর প্রধান আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহ জানান, ঘানি (Ashraf Ghani) দেশ ছেড়েছেন। পাশাপাশি তাঁকে ‘প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট’ হিসাবেও উল্লেখ করেন। নিরাপত্তা বজায় রাখতে আফগান বাহিনীকে আহ্বান জানান তিনি। সেই সঙ্গে কাবুলে ঢোকার আগে আলোচনার জন্য আরও কিছুটা সময় চান আব্দুল্লাহ।
কোনও সংঘর্ষ ছাড়াই কাবুল প্রায় কব্জা করে তালিবান। শান্তিপূর্ণ ইন্টেরিয়র মন্ত্রকের এক সিনিয়র আধিকারিক জানান, জঙ্গিরা চারিদিক থেকে কাবুল ঘিরে ফেলে।
মার্কিন দূতাবাস থেকে এ দিনই কূটনীতিকদের হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া শুরু হয়েছে। তিন দিনের মধ্যে সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। ভারপ্রাপ্ত ইন্টেরিয়র মিনিস্টার জানিয়েছেন, অভ্যন্তরীণ প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হবে ক্ষমতা।
তালিবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, কাবুলের শান্তিপূর্ণ সমর্পণের জন্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে তারা।
বিবৃতিতে লেখা হয়েছে — ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যাপারে শান্তিপূর্ণ ও সন্তোষজনক সিদ্ধান্তে পৌঁছনোর আগে পর্যন্ত কাবুলের প্রত্যেক প্রবেশ পথের সামনে অপেক্ষা করবে তালিবান যোদ্ধারা।
দু’দশক বাদে মে মাসে ধীরে ধীরে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু করেছে আমেরিকা। তার পরে বিদ্যুৎ গতিতে পুনরুত্থান ঘটেছে তালিবানের। গত সপ্তাহেই মার্কিন একটি গোয়েন্দা সূত্রে দাবি করা হয়, আরও অন্তত তিন মাস কাবুল তালিবানের ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকবে। কিন্তু তার এক সপ্তাহের মধ্যেই পতন ঘটল কাবুলের।
আপাতত অভ্যন্তরীণ প্রশাসনের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরিত করা হবে বলে জানান ভারপ্রাপ্ত ইন্টেরিয়র মিনিস্টার আব্দুল সাত্তার মির্জাকাওয়াল। একটি সংবাদমাধ্যমে টুইট বার্তায় মির্জাকাওয়াল বলেন, ‘কাবুলে কোনও সংঘর্ষ হবে না। শান্তিপূর্ণ ভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
তালিবানের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান, মুল্লাহ আব্দুল ঘানি বরাদর দোহায় সরকারের সঙ্গে আলোচনা সেরে কাবুলের উদ্দেশে রওনা হন শেষ দুপুরে। এরই মধ্যে আফগান প্রেসিডেনশিয়াল প্যালেসের একটি টুইটে জানা যায়, কাবুলের আশপাশে একাধিক এলাকা থেকে গুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। তবে নিরাপত্তার নিয়ন্ত্রণ আফগান সেনার হাতে রয়েছে বলে দাবি করা হয়।
কাবুলের কোনও কোনও রাস্তায় গাড়ির মিছিল দেখা যায়। কোনও নাগরিক সংঘর্ষের ভয়ে বাড়ির পথ ধরেন। কেউ বা দেশ ছাড়ার জন্য বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হন। প্রাণ বাঁচাতে মরিয়া বহু বাসিন্দা গাড়িতে চাবি ঝুলিয়ে জ্যামের মধ্যে হেঁটেই বিমানবন্দরের পথ ধরেন।
Theonlooker24x7.com–র সব খবরের নিয়মিত আপডেট পেতে লাইক করুন ফেসবুক পেজ ও ফলো করুন টুইটার।