Onlooker desk: আফগানিস্তান ছেড়ে পালানোর তাগিদে হাজার হাজার মানুষ ভিড় করছেন কাবুল বিমানবন্দরে (Kabul airport)। প্রবল বিশৃঙ্খলায় শনিবার বিমানবন্দরে সাত জন প্রাণ হারালেন। এ দিন এই খবর জানিয়েছে ইংল্যান্ডের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
আপাতত ৪৮ ঘণ্টার জন্য কাউকে নতুন করে বিমানবন্দরে ঢুকতে বা বেরোতে দেওয়া হবে না বলে স্থির হয়েছে। তবে বিমান ওঠানামা করছে। এবং গেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত সত্ত্বেও বহু মানুষ প্রাণভয়ে ভিড় করছেন অভিশপ্ত বিমানবন্দরেই (Kabul airport)।
রবিবার মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। সেখানে লেখা হয় — বাস্তব পরিস্থিতি অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। তবে আমরা যতদূর সম্ভব নিরাপদ ও সুরক্ষিত ভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছি। ভিড়ের চাপে যে সাত আফগান নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনা জানাই।
Afghans are handing over their children to Turkish & Azeri soldiers at #KabulAirport so they can safely leave #Afghanistan .
One wall dividing two worlds. pic.twitter.com/YXVSLZOxZJ— Sudhir Chaudhary (@sudhirchaudhary) August 21, 2021
শনিবারই একটি সংবাদমাধ্যমে দেখা যায়, প্রবল বিশৃঙ্খলায় একটি ব্যারিকেড ভেঙে পড়ে। স্তূপের ভিতর থেকে ইংল্যান্ডের প্যারাট্রুপাররা মানুষকে টেনে টেনে বের করছেন। চিকিৎসকদের পরীক্ষার পরে অনেককে ঢেতে দেওয়া হচ্ছে সাদা চাদরে।
বিখ্যাত সাংবাদিক স্টুয়ার্ট র্যামসে কাবুল বিমানবন্দরের (Kabul airport) বাইরে থেকে রিপোর্ট করেন। জানান, কী ভাবে স্রেফ তালিবান-শাসিত দেশ ছাড়ার তাড়ায় মানুষ পিষে যাচ্ছেন। বিমানবন্দরের চৌহদ্দির ভিতরে ছিলেন ব্রিটিশ সেনারা। ব্রিটিশ নাগরিক ও যে আফগানদের ইংল্যান্ডে যাওয়ার অধিকার রয়েছে, তাঁদের বের করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন।
বুধবার কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে পদপিষ্ট হয়ে আহত হন ১৭ জন। তার আগে, গত সোমবার অন্তত পাঁচ জন নিহত হন। একজন মার্কিন সেনা বিমান থেকে পড়ে মারা যান।
এ দিকে আমেরিকা আফগানিস্তানে বসবাসকারী তাদের নাগরিকদের কাবুল বিমানবন্দর এড়িয়ে যেতে বলেছে। ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আফগান শাখা হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা। কেবল যাঁদের মার্কিন সরকারের তরফে বিমানবন্দরে (Kabul airport) গিয়ে বিমান ধরতে বলা হয়েছে, তাঁদের উপস্থিতিতে ছাড় দিয়েছে আমেরিকা। এ ব্যাপারে অবশ্য বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়নি। প্রসঙ্গত, আফগানিস্তানে আইএস জঙ্গিরা অতীতে তালিবানের সঙ্গে যুদ্ধ করেছে।
এরই মধ্যে গোটা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলেছেন প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টোনি ব্লেয়ার। আমেরিকার পাশাপাশি আফগানিস্তানে ব্রিটিশ বাহিনী পাঠিয়েছিলেন ব্লেয়ারও। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বাহিনী প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছেন তিনি। এমন একটা সময়ে মার্কিন বাহিনীকে আফগানিস্তান থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া যে কতখানি ভুল হয়েছে, দ্ব্যর্থহীন ভাষায় তা জানিয়েছেন ব্লেয়ার।
Theonlooker24x7.com–র সব খবরের নিয়মিত আপডেট পেতে লাইক করুন ফেসবুক পেজ ও ফলো করুন টুইটার।