Onlooker desk: শনিবারের পর রবিবার। ফের করোনা সংক্রমণের হদিস মিলল টোকিও অলিম্পিক্সের (Tokyo Olympics 2020) গেমস ভিলেজে। এঁরা হলেন দুই অ্যাথলিট এবং দলের এক সদস্য। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আর ৪-৫ দিন বাকি। তার আগে গেমস ভিলেজের অ্যাথলিটদের করোনা হওয়ায় আতঙ্ক আরও বেড়েছে।
শনিবারই এক ব্যক্তির করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছিল গেমস ভিলেজে। তাঁকে একটি হোটেলে কোয়ারান্টিনে রাখা হয়েছে। কিন্তু দেশ-বিদেশ থেকে অ্যাথলিটরা গেমস ভিলেজে আসছেন। সেই সূত্রে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা প্রবল। এমনিতেই এমন সময়ে অলিম্পিক্স আয়োজনের কারণে টোকিওবাসীর প্রবল আপত্তির মুখে উদ্যোক্তারা।
নতুন করে যে তিন জনের করোনা ধরা পড়েছে, তাঁরা একই দেশ এবং খেলার। টুর্নামেন্টের মুখপাত্র মাসা তাকায়া এ কথা জানান। নিজেদের ঘরে কোয়ারান্টিনে রয়েছেন তাঁরা। উদ্যোক্তাদের তরফে তাঁদের খাবার দেওয়া হচ্ছে। ওই দলের বাকি সদস্যদেরও টেস্ট করা হয়েছে। তবে দলের পরিচয় জানানো হয়নি।
একাধিক আবাসন, ডাইনিং এরিয়া-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় গড়ে উঠেছে অলিম্পিক্স ভিলেজ। টুর্নামেন্ট যখন পুরোপুরি জমে উঠবে, তখন ৬,৭০০ অ্যাথলিট ও আধিকারিকের সেখানে থাকার কথা।
মূলত দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে খেলাগুলির আয়োজন করা হবে। গত বছর বাতিল হয় অলিম্পিক্স। এ বারও তার আয়োজন ঘিরে প্রবল বিতর্ক। সব ক’টি ওপিনিয়ন পোলেই টুর্নামেন্টের বিরুদ্ধে গিয়েছে মত।
এমন অবস্থায় পরপর দু’দিন করোনা সংক্রমণের হদিসে বেশ চাপে উদ্যোক্তারা। সংক্রমণ ঠেকাতে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেছেন তাঁরা। অ্যাথলিটদের প্রতিদিন টেস্টের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। অলিম্পিক্স গেমসের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর ক্রিস্টোফি ডুবি বলেন, ‘মানুষের মেলামেশার সুযোগ এখানে খুব কম। ঝুঁকি যতদূর সম্ভব কম রাখা যায়, সেই চেষ্টাই করা হয়েছে। এটা বলতে পারি যে এক দল থেকে অন্য দলে সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা প্রায় নেই।’
আগামী শুক্রবার অলিম্পিক্সের উদ্বোধন। তার আগে এ মাসে এ পর্যন্ত টুর্নামেন্টের সঙ্গে জড়িত ৫৫ জনের করোনা সংক্রমণের হদিস পাওয়া গিয়েছে। তার মধ্যে চার জন অ্যাথলিট। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক্স কমিটির সভাপতি থমাস বাখ জাপানি ক্রীড়াপ্রেমীদের কাছে সমর্থন চেয়েছেন। এই অনুষ্ঠান ঘিরে মানুষের সংশয়ের কথা তিনি বোঝেন বলেও বাখ জানান।
কেমন পরিস্থিতি গেমল ভিলেজের? সেখানে পরিবেশ অত্যন্ত কঠোর। প্রতিদিন করোনা টেস্ট, দূরত্ব-বিধি বজায় রাখায় কড়া নজরদারি। অলিম্পিক ‘বাবল’-এর বাইরে বেরোনোরও কোনও উপায় নেই। নিজেদের ইভেন্ট শেষ হওয়ার ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত জাপানে থাকতে হবে প্রতিযোগীদের।
কড়াকড়ি এমনই যে এক আধিকারিকের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট ইনকনক্লুসিভ আসায় গোটা অস্ট্রেলিয় দলকে কোয়ারান্টিনে থাকতে হয়। পরে ওই আধিকারিকের রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। তার পরে মেলে জাপানের ছাড়পত্র।
Theonlooker24x7.com–র সব খবরের নিয়মিত আপডেট পেতে লাইক করুন ফেসবুক পেজ ও ফলো করুন টুইটার।