Onlooker desk: প্রতি বছরই আজ, ৭ জুনের দিনটা ‘ওয়ার্ল্ড ফুড সেফটি ডে’ হিসাবে পালিত হয়। খাদ্য সংক্রান্ত নিরাপত্তা ও তার নানা ঝুঁকি নিয়ে মানুষকে সচেতন করতে এই দিনটি পালন করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। করোনা আবহে সেই সতর্কতার কেন্দ্রে যে কোভিডই থাকল, তাতে কোনও বিস্ময় নেই। এ বারের নিরাপদ খাদ্য দিবসের থিম — স্বাস্থ্যকর আগামীর জন্য বর্তমানে নিরাপদ খাদ্য।
এমন একটি দিবস পালনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় আলোচনা শুরু হয় ২০১৬-য়। ২০১৮-র ২০ ডিসেম্বর ঠিক হয়, খাদ্যের গুণাগুণ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে বছরের একটি দিন পালিত হবে। এতে পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস তৈরির পাশাপাশি খাদ্যবাহিত অসুস্থতাও কমানো সম্ভব হবে।
নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও খাওয়ার মাধ্যমে যে মানুষের দীর্ঘমেয়াদি উপকার সম্ভব, এ বারের থিমে সেই বার্তাই দিতে চায় হু। খাদ্যবাহিত অসুস্থতাগুলির লক্ষণ সাধারণত চোখে দেখা যায় না কিন্তু তা শরীরকে মারাত্মক প্রভাবিত করে। সে কারণে উৎপাদন থেকে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, সঞ্চয়, বণ্টন, রান্না থেকে খাওয়া — প্রতিটি পর্বে সচেতনতা বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি বলে জানিয়েছে হু। রাসায়নিক, ব্যাক্টেরিয়া, ভাইরাস বা পরজীবীদের দ্বারা যাতে কোনও ভাবে তা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেটা নিশ্চিত করার উপরে জোর দিচ্ছে হু। সে কারণে সরকার, চাষি ও উৎপাদক থেকে যিনি খাচ্ছেন — এ ক্ষেত্রে প্রত্যেকের সমান দায়িত্ব বলে হু-এর ওয়েবসাইটে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
কোভিড-১৯ সংক্রমণের পিছনে কোনও খাদ্যের ভূমিকা রয়েছে কি না, সেটা এখনও নিশ্চিত করে বলা না গেলেও সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন জানিয়েছেন, যে কোনও ধরনের খাদ্যবাহিত রোগ এড়িয়ে চলতে খাওয়া বা রান্নার আগে অন্তত ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধোয়া জরুরি। যেমনটা করোনা থেকে বাঁচতে বারবারই বলেছে হু।
আজ নিরাপদ খাদ্য দিবস, জেনে নিন কী বলছে হু
