Onlooker desk: ভ্যাকসিনের হাহাকার দেশজুড়ে। মজুত না থাকায় বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানকে কাল, শনিবার থেকে টিকা দিতে পারবে না বলে জানিয়েছে মহারাষ্ট্র। দিল্লিও ঘোষণা করেছে টিকার অভাবের কথা।
কিন্তু মহারাষ্ট্রের পটরাজ উপজাতির সেসবে হেলদোল নেই। কারণ, তাঁদের দেবী কড়ক লক্ষ্মী ‘নিষেধ’ করেছেন টিকা নিতে! পটরাজ বা মারিয়াই নামে এই ভবঘুরে জনজাতি তাই টিকা নেবে না বলে জানিয়েছে।
ভ্যাকসিনেশনের জন্য জরুরি সব নথিই তাঁদের আছে। আধার, ভোটার, প্যান, সবই পেয়েছেন পটরাজ সম্প্রদায়ের মানুষ। কিন্তু ওই যে, দেবী বলেছেন, টিকা নেওয়ার কোনো দরকার নেই। তাই এই মহামারীতে তাঁরা নিজেদের অবস্থানে অনড়।
জনজাতিটির পেশা অত্যন্ত কঠিন। মহিলাদের ঢাকের তালে নিজেদের পিঠে চামড়ার মোটা চাবুকের ঘা মেরে এক ধরনের নৃত্য পরিবেশন করেন পুরুষরা। পুনের পুরন্দর তালুকের বোপগাঁও গ্রামে অস্থায়ী ছাউনিতে আপাতত থাকছেন তাঁরা।
সম্প্রদায়ের এক তরুণ সদস্য প্রহ্লাদ নিম্বলকর সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘সপ্তাহখানেক আগে কয়েকজনের উপরে দেবীর ভর হয়েছিল। তখনই তিনি আমাদের জানান যে ভয়ের কোনও কারণ নেই এবং টিকাও নিতে হবে না। তাই আমরা কোনও টিকাকরণ কেন্দ্রে যাবো না।’ বোপগাঁওতে গত দু’মাস ধরে ৯টি পরিবার থাকলেও কারও করোনা হয়নি বলে প্রহ্লাদের দাবি। কোনো চিকিৎসকও আসেননি।
হাদাপসারের ভাইদুওয়াদি এলাকায় সরকারি স্থায়ী আস্তানায় এই সম্প্রদায়ের যাঁরা আছেন, তাঁরাও একই কথা জানাচ্ছেন।
এমনই একজন মারুতি কুটেকর। তিনিও বলেন, ’গত সপ্তাহে দেবী আমাদের বলেছেন, চিন্তা নেই। স্যানিটাইজার ব্যবহার করলেই চলবে। টিকা নেওয়া বা হাসপাতালে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। আমাদের মধ্যে কেউ অসুস্থ হলে মন্দির থেকে ছাই নিয়ে মেখে নিই। ওতেই কাজ হয়।’ পুনে, নাসিক-সহ মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায় তাঁরা ছড়িয়ে থাকলেও এ পর্যন্ত কারও কোভিড হয়নি বলে দাবি মারুতিরও।
বিষয়টি ভাবাচ্ছে সমাজকর্মীদের। সরকার যাতে এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করে, সেই আবেদন জানাচ্ছেন তাঁরা।
দেবীর ‘নিষেধ’, টিকা নেবেন না ওঁরা!
