Onlooker desk: আমাদের অনেকের জন্যই ‘প্রতিদিন চায়ের দিন’। কিন্তু আন্তর্জাতিক স্তরে সরকারিভাবে চায়ের জন্যও একটা দিন আছে। সেটা এই মে মাসে পালিত হয়। তারিখটা আজকের। অর্থাৎ ২১মে হলো আমাদের সকলেরই অত্যন্ত প্রিয় এবং একান্ত নিজস্ব পানীয় চা–দিবস। মে মাসে দিনটি পালনকরার পিছনে কারণও আছে। দার্জিলিং ও নেপালে ১৫ মার্চ থেকে মে–র মধ্যে ফার্স্ট ফ্লাশ চা পাতারমরসুম। এই চা স্বচ্ছ, হাল্কা, অত্যন্ত সুগন্ধী এবং আন্তর্জাতিক বাজারে সবচেয়ে বেশি মূল্যবান। সেকেন্ডবা সামার ফ্লাশ আসে জুন থেকে অগস্টের মাঝামাঝি সময়ে। এই চায়ের রং গাঢ় এবং গন্ধ কড়া। থার্ডবা অটাম ফ্লাশ আসে অক্টোবর–নভেম্বরে। এটিই স্বাদ–গন্ধে অত্যন্ত কড়া।
বহু সংস্কৃতির কেন্দ্রবিন্দু এই চা, যে শিল্প অগুনতি মানুষের উপার্জনের উৎসহ, তাকে উদযাপনের জন্যইএই আন্তর্জাতিক চা দিবস। এ সংক্রান্ত কয়েকটি মজার তথ্য —
চা হলো বিশ্বের প্রাচীনতম পানীয়গুলির একটি এবং জনপ্রিয়তার নিরিখে জলের পরেই তার অবস্থান
রেকর্ড থেকে জানা যায়, চায়ের উৎস উত্তর–পূর্ব ভারত, উত্তর মায়ানমার এবং দক্ষিণ–পশ্চিম চিনে
৫ হাজার বছর আঘেও চিনে চা পানের চল ছিল
চা বাগানগুলিতে কয়েক লক্ষ মানুষ কর্মরত
নিয়োগের সুযোগ তৈরি হওয়ায় চা শিল্প দারিদ্র ও ক্ষুধা দূরীকরণে সহায়ক। মহিলাদের ক্ষমতায়নেও এরগুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। কারণ চা বাগানগুলিতে বহু মহিলা কাজ করেন
কোনও দেশে উৎপন্ন চায়ের অর্ধেকের বেশি দেশেই ভোগ করা হয়। বাকি বাণিজ্যের কাজে লাগে
চায়ের বহু স্বাস্থ্যকর দিক রয়েছে। এর অ্যান্টি–ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হওয়ার পাশাপাশি গ্রিন টিওজন কমাতেও সাহায্য করে।
এই পানীয় ক্যামেলিয়া সিনেসিস গাছ থেকে তৈরি হয়