Onlooker: পবিত্র রমজান মাস চলছে। ইসলামিক ক্যালেন্ডারের এটি নবম মাস। সংযম পালনে দিনে ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় রোজা রাখছেন মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা। খুশির ঈদের আগের এই এক মাস সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মিল হলো সুহুর বা সেহরি। সূর্য ওঠার এবং ফজরের নমাজের আগে নির্দিষ্ট সময়ে এই খাওয়া শেষ করতে হবে। মনে রাখা দরকার, সেই সব খাবারই খাওয়া ভালো, যা দিনভর এনার্জি দেবে। পাশাপাশি শরীরে জলের ঘাটতিও হতে দেবে না। গ্রীষ্মের এই সময়ে শরীরে জল কমে গেলে কিন্তু বিপদ। এই লেখায় দেখে নেওয়া যাক, সেহরির ক্ষেত্রে কোন বিষয়ে নজর রাখা দরকার।
১. প্রচুর জল খান
সেহরিতে একটি সহজ অথচ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো পর্যাপ্ত জল পান করা। সম্ভব হলে এই সময়ে ২লিটার জল খেয়ে নিন। মনে রাখবেন, অল্প সময়ে একসঙ্গে অনেকটা নয়, একটু একটু করে এই জল খেতে হবে।
২. স্বাস্থ্যকর, হালকা খাবার খান
পেটপুরে একসঙ্গে অনেকটা খেয়ে নিলে সারাদিন আর সমস্যা হবে না ভাবছেন? তাহলে সেটা ভুল। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া জরুরি। ভাত বা রুটির মতো কার্বোহাইড্রেট, চিকেনের মতো প্রোটিন এবং বিভিন্ন ফল ও সব্জিতে থাকা অন্যান্য পুষ্টিসমৃদ্ধ সুষম আহার প্রয়োজন।
৩. তালিকায় খেজুর মাস্ট
রমজানে খেজুরকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। মনে করা হয়, হজরত মহম্মদ স্বয়ং রমজানের সময় মেনুতে খেজুর রাখতেন। বৈজ্ঞানিক ভাবেও যে কোনো উপোসে খেজুর বিশেষ উপকারী। এর মধ্যে কপার, সেলেনিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম থাকে। গ্লুকোজ সমৃদ্ধ এই ফল এনার্জি বাড়াতে সহায়ক।
৪. তাড়াতাড়ি ঘুম ও দ্রুত ওঠার অভ্যাস
পর্যাপ্ত ঘুমের উপর শারীরিক ফিটনেস নির্ভর করে। আর সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠাও শরীর স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে সহায়ক। তাই, এই সময়ে অন্তত স্বাস্থ্যকর এই রুটিন বজায় রাখার চেষ্টা করুন।
তা ছাড়া, সেহরি শুরু হওয়ার অন্তত ওকে ঘণ্টা আগে উঠে পড়লে পর্যাপ্ত সময় নিয়ে খাবার তৈরি করা যাবে।
সময়মতো খাবার তৈরি হলে নিশ্চিন্তে ধীরেসুস্থে সেটা খেয়ে হজম করাও হবে সহজ।
৫. দই খেতে ভুলবেন না
এক চামচ দইয়েরও বিশাল গুণ। সেহরির খাবার শেষে টক দই তাই খেতেই হবে। এতে আপনার পেট শান্ত থাকবে, অ্যাসিডিটির সমস্যা কমিয়ে জলহীনতা তৈরি হওয়ার ভয়ও কমবে।
৬. রাখুন কলা ও আপেল
এই দুই ফলেই ক্যালোরি কম। এবং ফাইবার, ভিটামিন সি, নানা ধরনের এ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দুর্বলতা কাটাতে সাহায্য করে। মনে রাখবেন, অতিরিক্ত লবন, চিনি বা মশলাদার খাবার না খাওয়াই ভালো। তাতে শরীরে জলের অভাব হতে পারে।
৮. জলসমৃদ্ধ রসালো ফল খান
শশা, টমেটোর স্যালাড বা তরমুজ, কমলালেবু, কিউইর মতো ফল মেনুতে যত বেশি রাখবেন, শরীরে জলের পরিমাণ ততই ঠিক থাকবে।
সেহরির পাশাপাশি ইফতারেও সুষম খাবারে নজর দেওয়া প্রয়োজন। রোজা ভাঙার সেই আহারে কোন বিষয়ে নজর রাখবেন জানতে চোখ রাখুন এই পেজে। সকলকে পবিত্র রমজানের শুভেচ্ছা।