Onlooker desk: গত ১২১ বছরে দ্বিতীয় সর্বাধিক বৃষ্টিপাত পেল এ বছরের মে। বৃহস্পতিবার মাসিক রিপোর্টে এ কথা জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। একের পর এক সাইক্লোন এবং পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণেই মে মাসে এত বেশি বৃষ্টি হয়েছে বলে জানাচ্ছে তারা। ১৯০১ থেকে এ পর্যন্ত মুল্যমূল্য বিচারে মে মাসের গড় তাপমাত্রা ছিল চতুর্থ সর্বনিম্ন। এ বার মে-তে দেশের গড় তাপমাত্রা ছিল ৩৪.১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের কোনও প্রান্তেই উল্লেখযোগ্য কোনও তাপপ্রবাহ লক্ষ করা যায়নি।
মে মাসে সবচেয়ে কম তাপমাত্রা ছিল ১৯১৭ সালে। সে বার গড় ছিল ৩২.৬৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তারপরে ১৯৭৭, সে বার গড় ছিল ৩৩.৮৪ ডিগ্রি।
মে মাসে দীর্ঘ সময়ের গড় (লং পিরিয়ড অ্যাভারেজ) বৃষ্টিপাত ৬২ মিলিমিটার। সে জায়গায় এ বার বৃষ্টি হয়েছে ১০৭.৯ মিলিমিটার। যা ওই গড়ের তুলনায় ৭৪ শতাংশ বেশি।
মাসিক রিপোর্টে আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে — ১৯০১ থেকে এ পর্যন্ত মে মাসে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে ১৯৯০ সালে। তারপরে এ বছর। বস্তুত, গত মাসে আরব সাগর এবং বঙ্গোপসাগরে পরপর ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়। যার জেরে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয় দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে।
আরব সাগরের ঘূর্ণিঝড় তউকতি গত ১৭ মে আছড়ে পড়ে গুজরাটে। অন্যদিকে বঙ্গোপসাগরে তৈরি ইয়াস গত ২৬ মে বয়ে যায় ওডিশা এবং পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে। কেবল পূর্ব ও পশ্চিম উপকূল নয়। দুই ঝড়ের প্রভাবে উত্তর ভারতেও ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়।
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, ২০২১-এর গ্রীষ্মের তিন মাসেই উত্তর ভারত জুড়ে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা দেখা দিয়েছে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বার। মার্চ থেকে মে পর্যন্ত যেখানে ৪-৬ বার ঝঞ্ঝা হওয়ার কথা, সে জায়গায় তা হয়েছে যথাক্রমে ৭, ৯ ও ৮ বার।
ভূমধ্য সাগরে তৈরি ঘূর্ণিঝড় যা মধ্য এশিয়া দিয়ে এসে উত্তর ভারতে আছড়ে পড়ে, তাকেই পশ্চিমী ঝঞ্ঝা বলা হয়। এর প্রভাবেই উত্তর-পশ্চিম ভারতের বৃষ্টি ও তুষারপাত অনেকখানি নিয়ন্ত্রিত হয়।
বৃষ্টির জেরে গরমের প্রভাবও এ বার মে মাসে অতখানি অনুভূত হয়নি। মার্চ এবং এপ্রিলের মতো মে-তেও তাপপ্রবাহ মাঝেমধ্যে এবং খুব অল্প সময়ের জন্য দেখা দেয়। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, উত্তর-পশ্চিম রাজস্থানে গত ২৯ ও ৩০ মে দু’দিন কেবল তাপপ্রবাহ হয়েছে। এ বাদে গোটা মে মাসে দেশের কোথাও তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।
১২১ বছরে দ্বিতীয় সর্বাধিক বৃষ্টি পেল এ বারের মে
