Onlooker desk: করোনায় আক্রান্ত হয়ে সেরে ওঠার কয়েক মাস বাদে পুরুষরা ‘ইরেকটাইলডিসফাংশন’-এর শিকার হতে পারেন বলে সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে।
মায়ামি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, কোভিড থেকে সেরে ওঠার পর ৬৫ এবং ৭১–এর দুইব্যক্তি জানান, তাঁদের যৌনাঙ্গে সমস্যা হচ্ছে। ইরেকটাইল ডিসফাংশন বা লিঙ্গ শিথিলর সমস্যায়ভুগছেন তাঁরা। টিস্যু পরীক্ষা করে দেখা যায়, ওই দু’জন অসুস্থ হওয়ার পর মাসছয়েক কেটে গেলেওভাইরাসটি ওই জায়গায় সক্রিয়। তাঁদের মধ্যে একজন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তাঁকেহাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। অন্যজনের উপসর্গ ছিল সামান্য। যা দেখে গবেষকদের দাবি, এই রোগে যেকেউ যে কোনও ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। এই গবেষণার সঙ্গে জড়িত নন, এমন বিজ্ঞানীদের দাবি, বিশ্বে এই প্রথম পুরুষদের যৌনাঙ্গে করোনার উপস্থিতি মিলল। করোনা যে ব্লাড ভেসেল ও অভ্যন্তরীণঅঙ্গপ্রত্যঙ্গের ক্ষতি করতে পারে, সেটা জানা গিয়েছে আগেই। এই স্টাডিতে দেখা গেল, যৌনাঙ্গে রক্তচলাচলে বাধা সৃষ্টি করে সঙ্গমে সমস্যা তৈরি করতে পারে করোনা। গোটা শরীরে এবং পুরুষদেরযৌনাঙ্গেও যে ব্লাড ভেসেল রয়েছে, সেগুলি ফুলে উঠে রক্ত চলাচল অবরুদ্ধ হতে পারে।
সমীক্ষাটি করেছেন ইউরোলজিস্ট রঞ্জিৎ রামস্বামী। তাঁর কথায়, ‘আগে যাঁদের এই সমস্যা ছিল না, কোভিডের পরে তাঁদের অনেকেরই গুরুতর লিঙ্গ শিথিলতা দেখা দিয়েছে। তাঁর সংযোজন, ‘এর অর্থহলো, যাঁরা কোভিডে আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁদের লিঙ্গ শিথিলতার সমস্যা হতে পারে ধরে রাখতে হবে। এরকম কিছু হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।’ তবে যেহেতু সমীক্ষাটি মাত্র দু’জনের উপরেচালানো হয়েছে, তাই খুব নির্দিষ্ট ভাবে এ কথা বলা যাচ্ছে না যে করোনা হলেই যৌনাঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।তবে করোনায় যে যৌনাঙ্গও ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সেটা এই সমীক্ষায় ধরা পড়েছে।
লন্ডনের হ্যামারস্মিথ হাসপাতালের রিপ্রোডাকটিভ এন্ডোক্রোনোলজি বিশেষজ্ঞ চান্না জয়সেনার মতে, হরমোনের মাত্রা গোলমাল হয়ে যাওয়ার ফলে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। করোনায় টেস্টোস্টেরন নেমেযৌন আকাঙ্ক্ষা ব্যাহত হচ্ছে বলে দেখা গিয়েছে।
শেফিল্ড ইউনিভার্সিটির পুরুষ ফার্টিলিটি বিশেষজ্ঞ অ্যালান প্যাসিও জানান, এই প্রথম যৌনাঙ্গেভাইরাসটির দেখা মিলল। তাঁর কথায়, ‘কোভিডে পুরুষদের যৌন জীবনে কেমন প্রভাব পড়তে পারে, তানিয়ে প্রচুর বিতর্ক রয়েছে। গত মাসে ইটালির একটি ছোট সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, করোনামুক্ত হওয়ারপরে পুরুষদের লিঙ্গ শিথিলতার আশঙ্কা ৬ গুণ বেশি থাকে।