Onlooker desk: সরাসরি লকডাউন না বললেও আগামী দু’সপ্তাহের জন্য কার্যত সেই পথেই হাঁটল রাজ্য সরকার। কাল, রবিবার সকাল ৬টা থেকে ৩০ মে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত জারি থাকবে কড়াকড়ি। আজ, শনিবার বেলা ১২টায় সাংবাদিক বৈঠক ডেকে এ কথা জানান মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে জরুরি পরিষেবাকে এই কড়াকড়ির আওতা থেকে বাদ রাখা হয়েছে। রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি গত কয়েক দিন ধরেই উদ্বেগজনক চেহারা নিয়েছে। গড়ে দৈনিক ২০ হাজার সংক্রমণ হচ্ছে। মারা যাচ্ছেন ১০০-রও বেশি মানুষ। এই পরিস্থিতিতে সকলের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে রাজ্য সরকার কড়া পদক্ষেপ করল বলে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব। ইতিমধ্যে লকডাউন বা কার্ফুর পথ ধরেছে দিল্লি, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, তেলঙ্গানা, কর্নাটক, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, বিহার-সহ বহু রাজ্য।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক আগামী ১৫ দিন রাজ্যে কী কী বিধিনিষেধ জারি থাকবে —
১। সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। ব্যতিক্রম — স্বাস্থ্য, আইন-শৃঙ্খলা, আদালত, সমাজকল্যাণ, বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট, অগ্নিনির্বাপণ, জল, নিকাশি, সংবাদমাধ্যম, বিপর্যয় মোকাবিলা, সৎকার ইত্যাদি জরুরি পরিষেবা
২। বন্ধ সমস্ত স্কুল, কলেজ, আইটিআই-সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বন্ধ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিও।
৩। সব্জি, ফল, মুদিখানা, মাংস, ডিমের দোকান, মুদিখানা খোলা সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত। মিষ্টির দোকান, দুধের দোকান সকাল ১০টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত খোলা।
৪। সমস্ত হোম ডেলিভারি, ই-কমার্স চালু থাকবে
৫। ব্যাঙ্ক খোলা সকাল ১০টা থেকে ২টো পর্যন্ত। এটিএম খোলা দিনভর।
৬। পেট্রল পাম্প, এলপিজির দোকান ইত্যাদি তাদের স্বাভাবিক সময়ে কাজ করবে।
৭। জরুরি পরিষেবা ছাড়া সমস্ত গণ পরিবহণ, বেসরকারি গাড়ি, অটো-ট্যাক্সি চলাচল বন্ধ।
৮। বিশেষ কড়াকড়ি রাত ৯টা থেকে সকাল ৫টা পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে মেডিক্যাল ইমার্জেন্সি ছাড়া বেরোনো একেবারেই নিষিদ্ধ।
৯। চা বাগানে প্রতি শিফ্টে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ।
১০। বিয়ের অনুষ্ঠানে বড়জোর ৫০ জনের উপস্থিতির অনুমতি।
১১। সৎকারে ২০ জনের বেশি থাকতে পারবেন না।
১২। শপিং মল, বাজার, স্পা, বিউটি পার্লার, রেস্তোরাঁ, জিম, সুইমিং পুল, বার ইত্যাদি বন্ধ থাকবে।
স্মৃতি উস্কে ফিরল কড়াকড়ি, ৩০ মে পর্যন্ত কার্যত লকডাউন রাজ্যে

আগামীকাল থেকে ফিরছে পুরোনো চিত্র