Onlooker desk: প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেজো ভাই অসীম বন্দ্যোপাধ্যায়। কোভিডে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। এক মাস ধরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল তাঁর। অসীমের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছে মুখ্যমন্ত্রীর পরিবার।
করোনা মোকাবিলাই যে তাঁর সরকারের প্রথম ও প্রধান কাজ, তৃতীয় দফায় মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়ে সে কথা জানিয়েছেন মমতা। এই লক্ষ্যে কেন্দ্রের সহযোগিতা চেয়ে একের পর এক চিঠি লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। কিন্তু মৃত্যু যে তাঁর ঘরে কড়া নাড়বে, সেই ধারণা ছিল না তাঁর।
বস্তুত, পশ্চিমবঙ্গ-সহ গোটা ভারতের পরিস্থিতিতই অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-এর ডিরেক্টর-জেনারেল তেদ্রোস আধানম ঘেব্রেইউসুস। শনিবারও ২৪ ঘণ্টায় দেশে সংক্রামিত হয়েছেন ৩ লক্ষ ২৬ হাজার ৯৮ জন। মারা গিয়েছেন ৩৮৯০ জন। ১১টা থেকে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। বহু রাজ্যে লাগামছাড়া সংক্রমণ, আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি করা, মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বেগ বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে হু-প্রধান জানিয়েছেন, গত বছরের তুলনায় এ বার মহামারী অনেক বেশি ভয়াবহ আকার নেবে। এর মধ্যে ভারতের সঙ্কটের কথা বিবেচনা করে প্রচুর অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর, ফিল্ড হাসপাতালের জন্য তাঁবু, মাস্ক ও অন্যান্য চিকিৎসা সরঞ্জাম পাঠিয়েছে হু।
ঘেব্রেইউসুস বলেন, ‘ভারতের পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। যাঁরা ভারতের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন, তাঁদের সকলকে ধন্যবাদ।
ভারত ছাড়াও নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম, কাম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড ও মিশরে সংক্রমণ ও হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আমেরিকা ও আফ্রিকারও কিছু দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বেশ বেশি বলে হু-প্রধান জানিয়েছেন। এই সব দেশেই সাধ্যমতো সহযোগিতা করবে হু।
করোনায় বিশ্বজুড়ে ইতিমধ্যেই ৩৩ লক্ষের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। কিন্তু টিকার জোগান এখনও সবচেয়ে বড় চিন্তার কারণ। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং টিকাকরণ — এই দু’য়ের মিশেলেই করোনাকে ঠেকানো যাবে বলে জানিয়েছেন ঘেব্রেইউসুস।
কোভিডে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রীর ভাই, শোকস্তব্ধ পরিবার
