কলকাতা: গত সোমবার ফিরহাদ, হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়-সহ চার নেতামন্ত্রীর গ্রেপ্তারির দিন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে ‘রক্তচোষা’ বলেছিলেন তৃণমূলের আইনজীবী সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার বেশ কয়েক ধাপ এগিয়ে কল্যাণ জানিয়ে দিলেন, রাজ্যপাল হিসাবে ধনখড়ের মেয়াদ শেষ হলেই ওঁকে প্রেসিডেন্সি জেলে পোরার ব্যবস্থা করা হবে। গত সোমবার গ্রেপ্তারির পর সেখানেই নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ফিরহাদদের।
কিন্তু হঠাৎ প্রেসিডেন্সি জেলে কেন পোরা হবে ধনখড়কে? তৃণমূলের এই বর্ষীয়ান সাংসদের দাবি, রাজ্যপাল সংবিধান মানছেন না। তিনি প্ররোচনা দিচ্ছেন। রবিবার কল্যাণের বক্তব্য, ‘রাজ্যপালের বিরুদ্ধে থানায় থানায় ডায়েরি করুন। জানি এখন কিছু হবে না। যে দিন মেয়াদ শেষ হবে সে দিনই ব্যবস্থা হবে। যে দিন পদে থাকবেন না, সে দিন মামলা শুরু করা যাবে। ওঁকে ঢোকানো হবে প্রেসিডেন্সি জেলেই।’ সাংসদের অভিযোগ, রাজ্যপাল সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তৃণমূলের পিছনে ‘লেগে রয়েছেন’। রাজ্যপালের প্ররোচনা ও মদতেই যে ফিরহাদদের গ্রেপ্তার করা হয়, সেটা ধনখড় ও তাঁর সঙ্গে যাঁরা থাকেন, তাঁদের ফোনের কল লিস্ট খতিয়ে দেখলে প্রমাণ হবে বলেও দাবি কল্যাণের।
স্বভাবতই চুপ করে থাকেননি ধনখড়। ট্যুইট করে কল্যাণের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। লিখেছেন — উনি তৃণমূলের প্রবীণ নেতা, প্রবীণ সাংসদ। একজন অভিজ্ঞ আইনজীবী। তাঁর মুখে এমন কথা শুনে আমি স্তম্ভিত। বাংলার সংস্কৃতিবান মানুষই এর বিচার করবেন।
কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিজেপিও। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, শমীক ভট্টাচার্যরা মুখ খুলেছেন। কল্যাণের বক্তব্যকে ‘সংবিধানের উপরে আক্রমণ’ বলেছেন শমীক।
মেয়াদ ফুরোলেই প্রেসিডেন্সি জেলে পুরব, কল্যাণের হুমকিতে ‘স্তম্ভিত’ ধনখড়
