কলকাতা: আজ, বৃহস্পতিবার বাড়িতেই রক্তপরীক্ষা হলো প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের। গত মঙ্গলবার করোনা ধরা পড়ে তাঁর। বুদ্ধবাবুর স্ত্রী সীরা ভট্টাচার্যও করোনায় আক্রান্ত। তিনি ভর্তি আছেন উডল্যান্ডসে। তাঁর পরিস্থিতি আপাতত স্থিতিশীল। বুদ্ধবাবু হাসপাতালে ভর্তি হতে চাননি। পাম অ্যাভিনিউয়ের ফ্ল্যাটেই চিকিৎসা চলছে তাঁর। আর তাঁদের কন্যা সুচেতনা থাকেন অন্যত্র। বুধবার কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে তাঁর করোনা সংক্রমণের খবর ছড়িয়ে পড়লেও পরে জানা যায় খবরটি ভুল।
এরই মধ্যে বুদ্ধবাবুর দ্রুত আরোগ্য কামনা করে টুইট করেছেন সাহিত্যিক তসলিমা নাসরিন। সেই সঙ্গেই অবশ্য তাঁকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী যে তাঁকে ‘বাংলাছাড়া’ করেছিলেন, সে প্রসঙ্গের উল্লেখ রেখেছেন টুইটে। বুধবার রাত ১০টা ১৫-র ওই টুইটে তসলিমা লিখেছেন — বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কোভিড পজিটিভ। যদিও উনি আমাকে বাংলা থেকে বের করে দিয়েছিলেন, তবু ওঁক দ্রুত ও সম্পূর্ণ আরোগ্য কামনা করি।
২০০৭-য় দ্বিতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হন বুদ্ধদেব। তার বেশ খানিকটা আগে থেকেই বাংলাদেশে নির্বাসিত তসলিমা কলকাতায় বসবাস শুরু করেন। বাম সরকারের সঙ্গে যদিও তাঁর সম্পর্ক কোনওদিনই তেমন ভালো ছিল না। তাঁর লেখা বই ‘দ্বিখণ্ডিত’ নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করে সরকার। পরে হাইকোর্ট থেকে তা প্রকাশের অনুমতি আদায় করেছিলেন সাহিত্যিক। কিন্তু হায়দরাবাদের একটি মৌলবাদী সংগঠনের প্রতিবাদের জেরে বিবাদ চরমে পৌঁছয়। ২০০৭-এর নভেম্বরে তসলিমাকে কলকাতা ছেড়ে চলে যেতে একরকম বাধ্য করে বুদ্ধবাবুর নেতৃত্বাধীন তৎকালীন রাজ্য সরকার। তারপরে ১৪ বছর কেটে গেলেও কলকাতায় ফেরা হয়নি তসলিমার।
এ দিকে, শ্বাসকষ্ট ও সিওপিডি-র শিকার বুদ্ধবাবু দীর্ঘদিনই শয্যাশায়ী। অসুস্থতার কারণে এ বার ভোটও দিতে যেতে পারেননি। রক্ত পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে, তাঁর শরীরে অন্য কোনও রোগের জীবাণু আছে কি না। করোনা রোগীদের অনেক ক্ষেত্রেই তা দেখা হচ্ছে।
‘অভিমানী’ টুইটে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধবাবুর আরোগ্য কামনা তসলিমার
