onlooker desk: আগামীকাল রবিবার থেকে ৩০ মে পর্যন্ত রাজ্যে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে জরুরি পরিষেবা ছাড়া সমস্ত কিছুই বন্ধ থাকছে। এই ঘোষণার পরই শনিবার বিকেল থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মদের দোকানে লম্বা লাইন পড়ে যায়। কাউকে কাউকে রিকশা-টোটো-গাড়ি ভাড়া করে মদ নিয়ে যেতে দেখা যায়। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় রসিকতাও কম হয়নি। সে সব অবশ্য গায়ে না মেখে দমদমের এক সুরাপ্রেমীর কথায়, ‘আরে লকডাউনে তো চাল-ডালের দোকান খোলা থাকবেই। কিন্তু মদ পাব কোথায়?’
সংক্রমণে রাশ টানতে আগেই লোকাল ট্রেন বন্ধ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরও রাজ্যে সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার বেড়েই চলেছে। তাই শেষমেশ কড়া সিদ্ধান্তের দিকেই যেতে বাধ্য হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তবে লকডাউনের আওতা থেকে বাদ রাখা হয়েছে জরুরি পরিষেবা। দিনের নির্দিষ্ট সময়ে বাজার খোলা রাখার কথাও বলা হয়েছে। তবে গত বছর লকডাউন ঘোষণার আগে চাল-ডাল সমেত অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী কেনার হিড়িক পড়ে গিয়েছিল। ভাবা হয়েছিল এবারও তেমনটা হবে। কিন্তু এদিন লকডাউন ঘোষণার পরই সব থেকে নজর কাড়ে মদের দোকানে লাইন। বাজারগুলিতেও কিছু ভিড় হয়েছে ঠিকই কিন্তু মদের দোকানের তুলনায় অনেক কম। গত বছর আনলক পর্বের শুরুতেও মদ কেনার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছিল। অনেক জায়গায় ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশকে ময়দানে নামতে হয়েছিল। তাই এ বার আগেভাগে ঘরে মদ মজুত করে রাখতে এদিন ময়দানে নেমে পড়েন সুরাপ্রেমীরা। শুধু শহর কলকাতা নয়, একই চিত্র দেখা গিয়েছে জেলার মদের দোকানগুলিতেও।
গড়িয়ার একটি মদের দোকান দু’পেটি মদ নিয়ে রিকশায় তুলছিলেন তপন মণ্ডল। চাকরি সূত্রে এখানে ভাড়াবাড়িতে থাকেন। তাঁর কথায়, ‘আমরা কয়েক জন মিলে এখানে ভাড়া থাকি। শুধু একা তো নয়, তাই একটু বেশি করে নিয়ে রাখলাম। কারণ লকডাউনের দিন সংখ্যা আবার বাড়তেও পারে।’ এদিকে হুগলির উত্তরপাড়ার বাসিন্দা সুকান্ত ভট্টাচার্য বলেন, ‘মদ একেবারে পাওয়া যাবে না এমনটা নয়। আগেরবার লকডাউনে অনেক বেশি টাকা দিয়ে মদ কিনতে হয়েছিল। তাই এ বার একটু সাবধানী হয়ে কিনে নিলাম।’ আবার কাটোয়ার সুকু কুসমেটের দাবি, ‘লকডাউনে খাবার জিনিস সবই পাওয়া যাবে। মুদিখানা দোকান তো নির্দিষ্ট সময়ে খোলা থাকবে। তাই চাল-ডাল নিয়ে চিন্তা নেই। তাই দীর্ঘক্ষণ লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হলেও মদ কিনে রাখছি।’
‘চাল-ডাল নিয়ে চিন্তা নেই’, লকডাউন ঘোষণায় লম্বা লাইন মদের দোকানে

মদের দোকানের সামনে লাইন