কলকাতা: যাবতীয় আস্ফালন এমনিতেই রাজনৈতিক প্রচার সভায় সীমাবদ্ধ থেকেছে। ভোটের বাক্সে বিজেপির পক্ষে হাওয়া সে ভাবে বয়নি।
এর মধ্যে দিনহাটা ও শান্তিপুর থেকে জয়ী দুই বিধায়ক নিশীথ প্রামাণিক এবং জগন্নাথ সরকার ইস্তফা দিলেন। তাঁরা আবার যথাক্রমে কোচবিহার এ রানাঘাটের সাংসদ। একইসঙ্গে লোকসভা ও বিধানসভার সদস্য হিসাবে থাকা যায় না। বিধায়ক পদ ছেড়ে সাংসদ হিসাবেই থাকলেন তাঁরা।
৬ মাসের মধ্যে দিনহাটা ও শান্তিপুর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে। বিজেপি-র দাবি, উপর নির্বাচনে তারাই জিতবে। তৃণমূলের পাল্টা বক্তব্য, আসন দু’টিতে বিজেপি-র জেতার কোনও সম্ভাবনা নেই।
সাধারণত যে কোনও উপ নির্বাচনে শাসকদলই এগিয়ে থাকে। তা ছাড়া নিশীথের তুলনায় তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী, তৃণমূলের উদয়ন গুহ মাত্র ৫৯ ভোট কম পেয়েছিলেন। ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রাক্তন এই নেতা ২০১১-য় জিতে তৃণমূলে যোগ দেন। ২০১৬-তেও জিতেছিলেন তিনি।
জগন্নাথ অবশ্য শান্তিপুরে অনেক বেশি ব্যবধানে জয় পেয়েছেন। ১৫ হাজার ৮৭৮ ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন তিনি। কিন্তু তাতেও পুরোপুরি স্বস্তির উপায় নেই। কারণ ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি-র ভোটের হার ৫৩.৭৪ শতাংশ হলেও এ বার তা কমে হয় ৪৯.৯৪ শতাংশ। ২০১৯-এ বিজেপি-র ভোটের একটা অংশ তৃণমূলে এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে। উপনির্বাচনে সেটা আর একটু বাড়লেই চিন্তা বাড়বে বিজেপি-র।
এ সব সত্ত্বেও অবশ্য আশাবাদী বিজেপি। দলের রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘আমরাই জিতব। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ওই ২ আসনের ভোটাররা বিজেপি-র উপরেই ভরসা রাখবেন।’
তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষও ছেড়ে কথা বলেননি। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘ওঁরা বুঝেছেন, এখন উপনির্বাচন হোক বা লোকসভা— বিজেপি হারবে। শুধু বাংলায় নয়, গোটা দেশে। ইস্তফা দিয়ে ওই দুই সাংসদ সেটা স্পষ্ট করে দিলেন।’
বিধায়ক পদে ইস্তফা নিশীথ-জগন্নাথের, উপ নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী বিজেপি
