কলকাতা: টানাপড়েন শেষে জামিন মিলল নারদ মামলায় গ্রেপ্তার দুই মন্ত্রী-সহ চার নেতার। বিকেল চারটের একটু আগে ব্যাঙ্কশাল আদালতের শুনানিতে হাজির হন রাজ্যের মোট ছ’জন মন্ত্রী। ‘প্রভাবশালী’ তকমা দিয়ে ফিরহাদ, সুব্রত, মদন ও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের বিরোধিতা করে সিবিআই। সাড়ে চারটে নাগাদ শেষ হয় ভার্চুয়াল শুনানি। অনলাইনেই চার্জশিট পেশ করে সিবিআই। ১৪ দিন জেল হেফাজতের আবেদন করেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। যদিও তা খারিজ হয়ে যায়। বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক অনুপম মুখোপাধ্যায় চার জনের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকার বন্ডে জামিন দেন। আর সে খবর মিলতেই উচ্ছ্বাস শুরু হয়ে যায় তৃণমূল শিবিরে। যদিও জামিনের বিরোধিতা করে সিবিআই হাইকোর্টে যাচ্ছে বলে সূত্রের খবর।
এ দিন সকাল থেকেই সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে পক্ষপাত্বিতের অভিযোগ তুলেছিল ঘাসফুল শিবির। এমনকী বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়ার সময়ই ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন, ‘কোর্টে দেখে নেব।’ এরপর নিজাম প্যালেসে পৌঁছেও এই গ্রেপ্তারিকে অনৈতিক বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ ক্ষেত্রে স্পিকারের অনুমতি না নেওয়ার বিষয়টিও উঠে এসেছিল। তা ছাড়া, এই করোনা পরিস্থিতিতে পুরোনো মামলায় এ ভাবে রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ নেতামন্ত্রীদের গ্রেপ্তারিতে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে সরব হয় সিপিএম, কংগ্রেসের মতো বিরোধী দলও। আজ প্রতিবাদ দিবসের ডাক দিয়েছে সিপিআইএমএল-লিবারেশন।
অন্য দিকে, লকডাউন উপেক্ষা করে কলকাতার পাশাপাশি রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভের আগুন জ্বলে ওঠে। তার মধ্যে একাধিক টুইট করে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে মমতাকে ক্রমাগত আক্রমণ শানান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তবে দিনের শেষে জামিন মঞ্জুর হতেই হাসি দেখা যায় তৃণমূল নেতাদের মুখে।
শেষবেলায় জামিন মিলতেই উল্লাস তৃণমূল শিবিরে, হাইকোর্টে যাচ্ছে সিবিআই
