কলকাতা: মদন মিত্রের ভবানীপুরের বাড়িতে আগুনে আতঙ্ক ছড়াল মঙ্গলববার সকালে। এ দিন তাঁর বাড়ি থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখে চাঞ্চল্য ছড়ায়। অসুস্থ হয়ে পড়েন তৃণমূল বিধায়কও। দমকলের তিনটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। পুরোনো বাড়ির একতলাটি আগুন পুড়ে গিয়েছে। খাট-সহ বাড়ির বেশ কিছু আসবাবপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে বাড়ির কেউ আহত হননি। আগুন লেগেছে বুঝতে পেরেই পরিবারের সকলে নেমে গিয়েছিলেন নীচে। তাতেই এড়ানো গিয়েছে বড় বিপদ। তবে শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ায় বাড়ির বাইরেই অক্সিজেন দিতে হয় মদনকে।
ভবানীপুরে মদনদের বাড়িটা অনেক পুরোনো। বিধায়ক জানান, প্রায় দেড় শতাব্দী প্রাচীন সেটি। ধোঁয়া দেখে প্রথমে বুঝতেই পারেননি নিজেদের বাড়িচে আগুন লেগেছে। তারপরে টের পেয়েই নীচে নেমে যান সকলে। সকাল দশটা-সাড়ে দশটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে সংবাদমাধ্যমে মদন বলেন, ‘আগুন লাগার পর দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুকে ফোন করেছিলাম। তার পরই দ্রুত দমকলের ইঞ্জিন চলে আসে। সুজিতকে অনেক ধন্যবাদ। কোনওমতে প্রাণে বেঁচেছি।’ পাড়ার অন্য বাসিন্দারাও সাহায্যে এগিয়ে আসেন। তাঁদের পাশাপাশি রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ জানান মদন।
নারদ মামলায় গ্রেপ্তারি ও জামিনের পর তৃণমূলের কামারহাটির বিধায়ক সম্প্রতি শিরোনামে এসেছেন ফেসবুক লাইভের সূত্রে। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত শনিবারের মেগা বৈঠকে তাঁকে এ নিয়ে বকাবকি করেন। যদিও তার পরেও মদন আছেন মদনেই। ফেসবুক লাইভে লাগাম পরেনি, তার ধরন বদলেছে কেবল। এরই মধ্যে আবার বাড়িতে অগ্নিকাণ্ড। মদন জানান, রাত পর্যন্ত জেগে থাকা অভ্যাস তাঁর। সোমবারও রাত প্রায় আড়াইটে পর্যন্ত জেগে বই পড়ছিলেন। তার পরদিন সকালেই বাড়িতে এই বিপর্যয়। দমকলের প্রাথমিক অনুমান শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে থাকতে পারে।
এমনিতে আগামী ৩০ জুন গান-বাজনা-হইহুল্লোড়ে কামারহাটিতে বিজয়োৎসবের ডাক দিয়ে রেখেছেন তিনি। দলনেত্র্রীর কাছে ভর্ৎসিত হওয়ার পরদিন, রবিবারই ৬ মিনিট ১৯ সেকেন্ডের ফেসবুক লাইভে এ কথা জানিয়েছেন। করোনাকালে জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে সে দিন ২০ হাজার মানুষের সমাগমের আহ্বান জানিয়েছেন প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী। খোদ মমতা জানিয়েছেন, করোনাকালে বিজয় উৎসব আপাতত মুলতুবি। করোনা কমে গেলে তা পালন করা হবে। কিন্তু মদনকে রুখবে কে?
রবিবারের ওই ফেসবুক লাইভের এক জায়গায় আবার বলেছেন — আমাদের কর্মসমিতির বৈঠকে যে সিদ্ধান্তগুলি নেওয়া হয়েছে, তা অসাধারণ। অভিষেক সাধারণ সম্পাদক। সায়নী যুব-র প্রেসিডেন্ট। রাজ কালচারাল বিভাগের চেয়ারম্যান। ঋতব্রত আমাদের চেয়ারম্যান। আমি খুব খুশি হয়েছি। বিশেষ করে সায়ন্তিকা, জুন, সোহম, লাভলি… এঁদের কাজের সুযোগ দিতে হবে।
ভবানীপুরের বাড়িতে আগুন, অসুস্থ মদনকে দিতে হলো অক্সিজেন
