Onlooker desk: কেন্দ্রীয় ডেপুটেশনে যোগ দেননি তিনি। সে কারণে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে ব্যবস্থা নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। গত শুক্রবার তাঁকে রাজ্যের মুখ্যসচিবের পদ থেকে কেন্দ্রের ডিপার্টমেন্ট অফ পার্সোনেল অ্যান্ড ট্রেনিংয়ে বদলি করা হয়। কোভিড বিধ্বস্ত রাজ্যের প্রয়োজনে আলাপনের কার্যকালের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছিল রাজ্য। তাতে সাড়াও দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু তার চার দিনের মাথায়, গত শুক্রবার কলাইকুন্ডায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রিভিউ বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যোগ না-দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আলাপনকে দিল্লি তলব করে নির্দেশ জারি করে কেন্দ্র। তার পরেই দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। গত শনিবার মৌখিক ভাবে এবং আজ, সোমবার পাঁচ পাতার দীর্ঘ চিঠি লিখে এই নির্দেশ প্রত্যাহারের আর্জি জানান মমতা। তাতে কর্ণপাত না করে উল্টে আলাপনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উদ্যত মোদীর সরকার।
আলাপনকে কেন আচমকা দিল্লিতে ডেপুটেশন দেওয়া হলো, তার স্পষ্ট কারণ ব্যাখ্যা করা হয়নি। তবে মনে করা হচ্ছে, আলাপন সে দিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আগাগোড়া না থেকে কলাইকুন্ডা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দিঘার উদ্দেশে রওনা হওয়ার ফলেই কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত। এতে তিনি প্রোটোকল ভেঙেছেন বলে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মত।
আবার এর পাল্টা হিসাবে বলা হচ্ছে, মোদী সে দিন কলাইকুন্ডায় বায়ুসেনার ঘাঁটিতে অবতরণ করেন। যা আপৎকালীন পরিস্থিতিতে করা হয়। তাই এ ক্ষেত্রে সাধারণ প্রোটোকল খাটে না।
কিন্তু যুক্তি-পাল্টা যুক্তির পাশাপাশিই এই প্রশাসনিক টক্করে রাজনৈতিক সমীকরণ সবকিছু গোলমাল করে দিচ্ছে বলে তৃতীয় পক্ষের মত। তাঁরা বলছেন, বিধানসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সরাসরি বহু জনসভা করলেও তার প্রভাব ভোটবাক্সে পড়েনি। সেই প্রতিহিংসা থেকে পরিকল্পনা করেও এমনটা করা হয়ে থাকতে পারে। বিশেষত, গত শুক্রবার মমতা কলাইকুন্ডা থেকে দিঘা রওনা হওয়ার পর যে ভাবে অমিত শাহ থেকে বিজেপির তাবড় নেতারা টুইটে তাঁকে বিঁধতে শুরু করেন, তাতে এই জল্পনার আগুনে ঘি পড়েছে। বিজেপি নেতারা অবশ্য বদলি নিয়ে আজ এখনও সে ভাবে মুখ খোলেননি।
আলাপনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চলেছে কেন্দ্র
