কলকাতা: গত বছর লকডাউনে বহুদিন মার খেয়েছিল ব্যবসা। তারপরে আনলকে একটু আশার আলো দেখতে না দেখতে হাজির দ্বিতীয় ঢেউ। আবার সবাই ঘরবন্দি, বিধিনিষেধের চোখরাঙানি। দেনার দায়ে জর্জরিত হয়ে হতাশা, উদ্বেগ, অবসাদ ক্রমেই বাড়ছিল। শুক্রবার সকালে উদ্ধার হলো সোদপুরের বসাকবাগানের সেই বাসিন্দা সমীর গুহ (৫৮), তাঁর স্ত্রী ঝুমা (৪৮) ও ছেলে বাবাইয়ের (২৩) দেহ। স্ত্রী, সন্তানকে খুন করে সমীর আত্মঘাতী হয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান। ঘর থেকে এইটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করেছে খড়দহ থানার পুলিশ। দেহগুলি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
জামাকাপড়ের ব্যবসা ছিল সমীরের। কিন্তু মন্দা যাওয়ায় বেশ ক’মাস ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। চুপচাপ থাকতেন, বাইরেও সে ভাবে বেরোতেন না। শুক্রবার সকালে সমীরের বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ পান প্রতিবেশীরা। ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে খবর দেওয়া হয় পুলিশকে।
পুলিশ দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে দেখে ঝুমা ও বাবাইয়ের দেহ পড়ে রয়েছে। তাঁদের দেহে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন। গলায় দড়ি লাগানো অবস্থায় ঝুলছেন সমীর। ঘর থেকে উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোটটি এক বন্ধুকে উদ্দেশ করে লেখা বলে জানা গিয়েছে। সেখানে বাড়ির জিনিসপত্র বিক্রি করে দেনা মেটানোর কথা বলা হয়েছে। কাকে কত টাকা দিতে হবে, তার বিস্তারিত হিসাব রয়েছে নোটে। মর্মান্তিক ঘটনায় শোকের আবহ সমীরদের পাড়া জুড়ে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।