কলকাতা: জামিন হলো না নারদ মামলায় ধৃত চার নেতা-মন্ত্রীর। কাল, বৃহস্পতিবার ফের এই মামলার শুনানি হবে কলকাতা হাইকোর্টে। ফলে আজ, বুধবারও জেল হেফাজতে থাকতে হবে সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। তাঁদের মধ্যে একমাত্র ফিরহাদই প্রেসিডেন্সি জেলের হাসপাতালে রয়েছেন। বাকিরা ভর্তি এসএসকেএনে। আজ দুপুর দুটোয়া মামলাটি শুনানির জন্য আদালতে উঠেছিল। প্রায় আড়াই ঘণ্টা শুনানির পরেও স্বস্তি মেলেনি দুই মন্ত্রী-সহ ধৃত চার নেতার। কাল দুটোয় পরবর্তী শুনানিতে ভাগ্য নির্ধারণ হতে পারে তাঁদের।
২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনের আগে সামনে আসে নারদ ভিডিয়ো। অভিযোগ, সেখানে ঘুষ নিতে দেখা যায় তৃণমূলের তাবড় নেতাদের। এক পুলিশকর্তার নামও জড়ায় তাতে। এর মধ্যে মুকুল রায় ও শুভেন্দু অধিকারী শিবির বদলে বিজেপিতে। তাঁদের বাদ দিয়ে তৃণমূলের দুই মন্ত্রী সুব্রত ও ফিরহাদ, বিধায়ক মদন এবং দলত্যাগী শোভনকে গ্রেপ্তারি নিয়ে প্রচুর তর্ক দানা বেধেছে। সিবিআইয়ের সাফাই, ওই দু’জনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের ছাড়পত্র নেই।
আজ ধৃত চারজনের জামিনের পাশাপাশি মামলাটি অন্য রাজ্যে সরাতে চেয়ে সিবিআই আবেদনেরও শুনানি ছিল। দুপুর ২টোর পরে কলকাতা হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল এবং বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের বেঞ্চে শুরু হয় শুনানি। সেখানে মূলত মামলা অন্য রাজ্যে সরানোর আবেদন নিয়েই শুনানি চলে। ধৃতদের তরফে সওয়াল করেন কংগ্রেস সাংসদ-আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি, সিদ্ধার্থ লুথরা। আর সিবিআইয়ের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা, অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ওয়াই জে দস্তুর। বিকেল ৪টে ৩৫ নাগাদ সওয়াল-জবাব শেষ হয়। আবেদনে সিবিআই জানিয়েছে, সোমবার গ্রেপ্তারির দিন মুখ্যমন্ত্রী নজিরবিহীন ভাবে নিজাম প্যালেসে তাদের দপ্তরে হাজির হন। ধৃতদের জামিনের দাবিতে সরব হন এবং তার পরে রাজ্যজুড়ে চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। সেই ঘটনাকে দৃষ্টান্ত হিসাবে তুলে ধরে এবং ধৃতস চারজনকেই ‘প্রভাবশালী’ তকমা দিয়ে মামলাটি অড়্য রাজ্যে সরাতে চায় সিবিআই।
সে দিনের জনরোষ ‘স্বাভাবিক, স্বতঃস্ফূর্ত’ বলে দাবি করেন ধৃতদের আইনজীবীরা। আদালত তার পাল্টা প্রশ্ন তোলে। সিবিআই আবার বলে, মুখ্যমন্ত্রী প্রভাবিত করেছেন বলেই জামিন মঞ্জুর করেছিল বিশেষ সিবিআই আদালত। শেষ পর্যন্ত বিকেল চারটে ৩৫ নাগাদ সওয়াল জবাব শেষ হয়। বিচারপতিরা জানান, আজকের মতো শুনানি শেষ। কাল, দুপুরে ফের শুনানি।
বাড়ি ফেরা হলো না ফিরহাদ-সুব্রতদের, কাল ফের শুনানি
