কলকাতা: গত শুক্রবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়োগ সংক্রান্ত ঘোষণা করেছিলেন। আর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত একাধিক মামলা দায়ের হলো উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ নিয়ে।
১৪,৩৩৯ পদে নিয়োগের জন্য গত সোমবার ইন্টারভিউ তালিকা প্রকাশিত হয়। উচ্চ প্রাথমিক স্তরে শিক্ষক বাছাইয়ের জন্য এই তালিকা প্রকাশ করে এসএসসি বা স্কুল সার্ভিস কমিশন। এই তালিকাকে চ্যালেঞ্জ করেই মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। অভিযোগ মামলাকারী পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, কমিশনের নিয়ম মেনে তালিকা তৈরি হয়নি। তাতে নানা অসঙ্গতি রয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগ বন্ধ উচ্চ প্রাথমিকে (Upper primary)। লিখিত পরীক্ষায় সফলরা বহুদিন ধরে অপেক্ষা করছেন। তার মধ্যে গত শুক্রবার মমতা জানান প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক মিলিয়ে ৩২ হাজার শূন্যপদে নিয়োগ হবে। এই ঘোষণাকে স্বাগত জানান সকলে। কিন্তু মামলার জেরে ফের দুশ্চিন্তার মেঘ।
গত সোমবারের এসএসসি-র জারি করা বিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে মামলায়। অভিযোগ, কম নম্বর পাওয়া অনেকের নাম তালিকায় রয়েছে। অথচ বেশি নম্বর পেয়েও বাদ পড়েছেন অনেকে। নিয়ম অনুযায়ী টেটে প্রাপ্ত নম্বর, অ্যাকাডেমিক স্কোর-সহ অন্যান্য মার্কস থাকার কথা ইন্টারভিউ তালিকায়। কিন্তু সেগুলি না-থাকার কারণেই এই মামলা।
এক মামলাকারীর আইনজীবী সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘এমন ভুলের কারণেই হাইকোর্ট, আগের তালিকা বাতিল করল। কার্যত তেমনই ভুল নিয়ে ইন্টারভিউয়ের নতুন তালিকা বেরোল। আমরা হাইকোর্টের কাছে এই অনিয়ম ব্যাখ্যা করে জানাব।’ কোন ক্ষেত্রে প্রার্থীদের বঞ্চিত করা হয়েছে, তার তথ্য জানাবেন বলেও আইনজীবীদের দাবি। পাশাপাশি প্রশিক্ষণহীন একদল প্রার্থীও মামলা দায়ের করেছেন।
আগামী সপ্তাহে উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগ মামলার শুনানি হতে পারে বলে খবর। গত বছর ডিসেম্বর মাসে বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্য উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে দেন। অস্বচ্ছতার অভিযোগেই বাতিল হয়েছিল প্রক্রিয়া। ইন্টারভিউ পর্ব থেকে নতুন করে প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি ভট্টাচার্য।
কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে সে কাজ করতে পারেনি কমিশন। একে কোভিড পরিস্থিতি। তার উপরে এসে পড়ে নির্বাচন। তাই ১০ মে-র বদলে তালিকা বেরোয় গত ২১ জুন। এখন কোভিড একটু কমেছে। পুজোর আগে প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিকে সাড়ে ২৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগের কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী। মার্চের মধ্যে আরও সাড়ে সাত হাজার। এই ঘোষণার পাশাপাশি আরও একটি কথা জানিয়েছিলেন মমতা (Mamata Banerjee)। তা হলো — লবি নয়। নিয়োগ হবে মেধার ভিত্তিতে।
ফের একাধিক মামলার জেরে উদ্বেগ উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ ঘিরে
