Onlooker desk: ত্রিপুরায় (Tripura) অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়িতে হামলার পিছনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ জানালেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। গত সপ্তাহে ত্রিপুরায় যান তৃণমূল সাংসদ তথা মমতার ভাইপো অভিষেক। সেখানে তাঁর গাড়িতে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ।
শনিবার আবার তৃণমূলের একাধিক নেতাকর্মীর উপরে হামলার অভিযোগ ওঠে। দু’ক্ষেত্রেই অভিযোগের তির বিজেপির দিকে। নেতা-কর্মীদের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। পরে, রবিবার ভোররাতে গ্রেপ্তার করা হয় ১১ জনকে। তাঁদের বিরুদ্ধে মহামারী আইনে মামলা রুজু করে পুলিশ। পরে তাঁদের ছাড়া হয়। অভিষেক ত্রিপুরা (Tripura) থেকে তাঁদের ফিরিয়ে আনেন।
সোমবারই তাঁদের দেখতে এসএসকেএম হাসপাতালে যান মমতা (Mamata Banerjee)। সেখানে তিনি বলেন, ‘ত্রিপুরা, উত্তর প্রদেশ, অসম — যেখানেই ক্ষমতায় আছে, সেখানেই স্বৈরাচারী শাসন চালাচ্ছে বিজেপি। ত্রিপুরায় (Tripura) অভিষেক ও আমাদের দলের কর্মীদের উপরে হামলার নিন্দা করছি।’
সে দিন দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা, জয়া দত্ত-সহ নেতাকর্মীদের উপরে বিজেপির হামলার অভিযোগ ওঠে। মমতা সোমবার (Mamata Banerjee) বলেন, ‘সুদীপ আর জয়া ছাত্র। ওরা ত্রিপুরা গিয়েছিল। ওদের মাথা থেঁতলে দিয়েছে। এবং আশ্চর্যের বিষয় হল, গোটাটাই ঘটেছে পুলিশের সামনে। চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়নি। ওদেরই উল্টে গ্রেপ্তার করা হয়। এক গ্লাস জলও দেয়নি।’
বিজেপিকে ‘রাক্ষুসে দল’ বলে উল্লেখ করেন মমতা (Mamata Banerjee)। তবে এতে তাঁরা বা তাঁর দল মোটেই বিচলিত কিংবা ভীত নন। যেখানেই গেরুয়া শিবিরের সরকার, সেখানে প্রকাশ্য দিবালোকে তৃণমূলকে আক্রমণ করা হচ্ছে। কিন্তু পুলিশ প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।
সম্প্রতি ত্রিপুরায় (Tripura) দলের কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়েছিলেন অভিষেক। সেখানে লাঠি, বাঁশ নিয়ে বিজেপি কর্মীরা তাঁর গাড়িতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। সেই ভিডিয়ো টুইটারে পোস্ট করেছিলেন অভিষেক। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে ট্যাগ করে গণতন্ত্র নিয়েও কটাক্ষ করেন।
এই প্রসঙ্গে মমতা সোমবার বলেন, ‘ত্রিপুরায় অভিষেক যাওয়ার পর যে ভাবে ওর গাড়িতে মারা হয়েছে, তাতে ওর মাথায় আঘাত লাগতে পারত। পরে প্রশাসনের তরফে বুলেটপ্রুফ গাড়ি দেওয়া হয়েছিল। এমনি গাড়ির কাচ হলে চুরমার হয়ে যেত। সবটাই পুলিশের সামনে হয়েছে। নানা পরিকল্পনা করা হচ্ছে। অভিষেক বিমানে কোথাও গেলে, ওর পাশের পাঁচটা আসন বুক করে গুন্ডা তুলে দেওয়া হচ্ছে। অভিষেকের জীবন বিপন্ন।’
এর সঙ্গেই অমিত শাহের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মমতা। বলেন, ‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সক্রিয় মদত ছাড়া এমন হামলা হতে পারে না। উনিই এই সব আক্রমণের পিছনে রয়েছেন। আর ত্রিপুরা পুলিশের সামনে সব হলেও তারা নীরব দর্শক হয়ে থেকেছে। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী (বিপ্লব দেব)-র এমন হামলার নির্দেশ দেওয়ার ক্ষমতা নেই।’
ত্রিপুরায় (Tripura) বিধানসভা নির্বাচন ২০২৩ সালে। তার আগে সেই রাজ্যকে পাখির চোখ করেছে তৃণমূল। সেই লক্ষ্যেই অভিষেকের ত্রিপুরা সফর। তিনি ইতিমধ্যে জানিয়েছেন, এ ভাবে হামলা চালিয়ে তাঁকে রোখা যাবে না। বারবার ত্রিপুরা যাবেন।
বিজেপি অবশ্য আগেই যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
Theonlooker24x7.com–র সব খবরের নিয়মিত আপডেট পেতে লাইক করুন ফেসবুক পেজ ও ফলো করুন টুইটার।