Onlooker desk: ছ’বছরের মেয়ের সামনে প্রেমিকের সঙ্গে মিলে স্বামীকে মেরে দেহ তিন টুকরো করে কেটে রান্নাঘরে পুঁতে দিয়েছিল তরুণী বধূ। কিন্তু পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ভেঙে পড়া এবং ওই শিশুর বয়ানই শেষ পর্যন্ত ধরিয়ে দিল মা শাহিদা শেখকে। প্রেমিক অনিকেত ওরফে অমিত মিশ্রকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঘটনার ১১ দিন বাদে বুধবার রইস শেখের দেহ উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। প্রায় ১২ ঘণ্টা ধরে রান্নাঘরের মাটি খুঁড়ে তিন ফুট গভীরে পুঁতে দেওয়া দেহটি উদ্ধার করতে হয় পুলিশকে।
২০১২-য় উত্তর প্রদেশের গোন্দার শাহিদার সঙ্গে বিয়ে হয় রইসের। গত ২৫ মে দহিসর থানায় গিয়ে স্বামীর নামে নিখোঁজ ডায়েরি করে শাহিদা। পুলিশকে সে জানায়, গত ২১ মে বাড়ি থেকে বেরোনোর পর স্বামী আর ফেরেনি। তার পর থেকে যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন বলে দাবি করে ওই তরুণী। এর ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ। ২৫ মে-ই রইসের ভাই আনিস মুম্বই পৌঁছে একই থানায় যান। তিনি দাবি করেন, বৌদি বারবার বয়ান বদলাচ্ছে। বৌদি কিছু লুকোনোর চেষ্টা করছে বলেও সন্দেহ প্রকাশ করেন আনিস।
মঙ্গলবার রইসদের বাড়িতে তল্লাশিতে যায় পুলিশ। দেখে, রান্নাঘরের একটা অংশে টাইলগুসি এবড়োখেবড়ো এবং অনেক টাইল নেই। সন্দেহ গাঢ় হয় পুলিশের। শাহিদাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন তদন্তকারীরা। এক সময়ে ভেঙে পড়ে সে জানায়, প্রেমিক অমিত মিশ্রের সঙ্গে মিলে স্বামীকে খুন করেছে সে। পরে দেহ পুঁতে দেয় রান্নাঘরে। ছ’বছরের মেয়েকে জিজ্ঞাসা করা হলে সে-ও একই কথা জানায়। পাশাপাশি বলে, এ কথা কাউকে বললে তাকেও ওই ভাবে পুঁতে দেবে বলে শাসানি দিয়েছিল মা।
শাহিদা পুলিশকে জানিয়েছে, প্রতিবেশী অমিতের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল সে। জানতে পেরে অবিলম্বে এ সব বন্ধ করতে বলেন রইস। তার পরেই তাঁকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার ছক কষা হয়। গত ২২ মে দু’জন মিলে রইসের গলায় তার পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে তাঁকে খুন করে। তারপরে তিন টুকরো করে দেহটা কেটে খানিকক্ষণ বাথরুমে রাখে। পরে টুকরোগুলো পুঁতে দেওয়া হয় রান্নাঘরে। পুরোটাই দেখে শাহিদা-রইসের ছ’বছরের শিশুকন্যা।
প্রেমিকের সঙ্গে মিলে স্বামীকে তিন টুকরো করে পুঁতে ধৃত স্ত্রী, পুলিশকে সব জানাল ছ’য়ের শিশুকন্যা
