Onlooker desk: দ্বিতীয় দফায় জয়ের বছরদুয়েক বাদে মন্ত্রিসভা পুনর্গঠন তৈরি করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। করোনা অতিমারীর মোকাবিলা এবং বিভিন্ন রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই এই পুনর্গঠন হবে।
মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের ব্যাপারে আলোচনার জন্য আজ, মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটায় একটি বৈঠক ছিল। বেশ ক’জন মন্ত্রী ছাড়াও বিজেপির শীর্ষ কর্তা ডেপি নাড্ডার হাজির থাকার কথা ছিল বৈঠকে। তবে তা বাতিল হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
এ সপ্তাহের মধ্যেই মন্ত্রিসভায় রদবদল হতে পারে বলে সূত্রের খবর। তবে এ নিয়ে এখনও সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় ৮১ জন সদস্য থাকতে পারেন। বর্তমানে আছেন ৫৩ জন। অর্থাৎ আরও ২৮ জনকে যুক্ত করা যেতে পারে।
মন্ত্রিসভায় রদবদল নিয়ে নানাবিধ জল্পনা চলছে। গত মাসে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীদের কাজের মূল্যায়ন প্রক্রিয়া শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী। তাতে জল্পনা আরও বেড়েছে। সেই প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে সিনিয়র মন্ত্রী ও দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেন মোদী। অনেক বৈঠকে হাজির ছিলেন বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডাও।
আগামী বছর উত্তর প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। অন্য কয়েকটি রাজ্যে ভোট থাকলেও নজর মূলত উত্তর প্রদেশে। মন্ত্রিসভা পুনর্গঠনে সে দিকে যেমন নজর রাখা হচ্ছে। তেমনই করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে অতিমারী মোকাবিলায় সরকারের যে যথেষ্ট মুখ পুড়েছে, মাথায় রাখা হচ্ছে তা-ও।
উত্তর প্রদেশে বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল অনেকদিনই প্রকট। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন বহু নেতা। সেখানেও করোনা অন্যতম বড় ইস্যু। মন্ত্রিসভা রদবদলে এ সব দিক বজায় রাখা হবে বলে বিজেপি নেতৃত্ব জানিয়েছেন।
এ ছাড়া গুজরাট, হিমাচল প্রদেশ, পাঞ্জাব, মণিপুর এবং গোয়াতেও নির্বাচন রয়েছে। মন্ত্রিসভা চূড়ান্ত করার আগে এই রাজ্যগুলিকেও বিবেচনায় রাখা হবে।
এ ছাড়া, গত দু’বছরে যা ঘটেছে, সেগুলিকেও বাদ দেওয়া যাবে না। কংগ্রেস ছেড়ে ডজন খানেক বিধায়ক নিয়ে বিজেপিতে এসে মধ্য প্রদেশে দলকে ক্ষমতায় আসতে সাহায্য করেছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। জ্যোতিরাদিত্য ও অসমের সর্বানন্দ সোনোয়ালকে নতুন মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়া হতে পারে।
২০১৯-এ এনডিএ ত্যাগ করেছে শিব সেনা এবং এসএডি। এ বার জোটসঙ্গীদের কিছু বেশি মন্ত্রিত্ব ছাড়তে তায় বিজেপি। জেডিইউ এবং এলজেপি-ও মন্ত্রিসভায় সুযোগ পেতে পারে।
গত ৩০ জুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মন্ত্রিসভার উদ্দেশে ভাষণ দেন। মন্ত্রীদের তিনি বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ যাতে না আসে, সে ব্যাপারে নজর রাখতে হবে। বিরোধীদের সমালোচনারও কড়া জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় বদল: কোন দিকে নজর? নতুন সদস্য কোন দলের?
