Onlooker desk: লকডাউনের মধ্যে বাড়ির সামনে কিছু সব্জি বিক্রির ‘অপরাধে’ ১৭ বছরের এক কিশোরকে মেরে হত্যার অভিযোগ উঠেছে উন্নাও পুলিশের বিরুদ্ধে। এ বার ছত্তিসগড়ে লকডাউনে ওষুধ কিনতে বেরিয়ে হেনস্থান শিকার হলেন এক তরুণ। অভিযোগ, সুরজগড়ের ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর রণবীর শর্মা লকডাউনে রাস্তায় বেরোনোয় ওই তরুণকে চড় মেরে তাঁর মোবাইল ফোনটি আছড়ে ভেঙে ফেলেন। তরুণ বারবার একটি কাগজ দেখানোর চেষ্টা করলেও কর্ণপাত না করে সঙ্গে থাকা পুলিশকর্মীদের কালেক্টর নির্দেশ দেন — মারো একে। পুলিশ তারপরে ওই তরুণকে লাঠিপেটা করে। ঘটনার ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ভাইরাল।
বিষয়টি জানতে পেরে কড়া অবস্থান নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। পরপর টুইটে তিনি জানিয়েছেন, ওষুধ কিনতে বেরোনোয় এক তরুণকে মারধরের জন্য সুরজগড়ের ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টরকে অবিলম্বে সরানো হলো। মুখ্যমন্ত্রী লেখেন — সোশ্যাল মিডিয়ার সূত্রে জানতে পেরেছি সুরজগড়ের ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর রণবীর শর্মা এক তরুণের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়। ছত্তিসগড়ে এ ধরনের আচরণ একেবারেই বরদাস্ত করা হবে না। ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর রণবীর শর্মাকে অবিলম্বে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। হিন্দিতে টুইট করে লেখেন — আধিকারিকদের দুর্ব্যবহার একেবারেই মেনে নেওয়া হবে না। আমি অত্যন্ত বিচলিত এই ঘটনায়। ওই তরুণ ও তাঁর পরিবারের কাছে ক্ষমা চাইছি।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রণবীরকে নব রায়পুরের মন্ত্রালয়ে বদলি করা হয়। রায়পুর জেলা পঞ্চায়েতের সিইও গৌরব কুমার সিংকে ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর করা হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়োটি ভাইরাল হতেই সরব হন নেট নাগরিকরা। তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার দাবিও ওঠে। পরে ক্ষমা চেয়ে রণবীর বলেন, ‘একটি ভিডিয়োয় আমাকে এক ব্যক্তিকে চড় মারতে দেখা গিয়েছে। উনি লকডাউনে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন। আমি মন থেকে ক্ষমা চাইছি। ওই ব্যক্তিকে অসম্মান বা ছোট করার কোনও অভিপ্রায় আমার ছিল না।’ ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনও ঘটনার কড়া সমালোচনা করে টুইট করেছে।
ওষুধ কিনতে বেরিয়ে প্রহৃত, অভিযুক্ত কালেক্টরকে সরালেন মুখ্যমন্ত্রী
