Onlooker desk: করোনা নিয়েই জেরবার দেশ। তার উপরে মূলত মহারাষ্ট্রে মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাকফাঙ্গাসের হানাদারি। এই অসুস্থতার দ্রুত শনাক্তকরণ ও চিকিৎসা নিয়ে শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন কিছু পরামর্শ দিলেন। তাঁর কথায়, ‘সচেতনতা ও দ্রুত ধরে ফেলা গেলে এই ফাঙ্গাল ইনফেকশনেরছড়িয়ে পড়া রোধ করা যেতে পারে।’
এই অসুখ নিয়ে মন্ত্রীর দেওয়া পরামর্শ ও আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ অংশ —
মিউকরমাইকোসিস কী?
এটি একটি ফাঙ্গাল ইনফেকশন। কোনও ধরনের অসুস্থতা থাকলে এই ইনফেকশনে আক্রান্ত হওয়ারআশঙ্কা বেশি। পরিবেশের প্যাথোজেনের সঙ্গে লড়াইয়ের ক্ষমতা এতে কমে যায়।
কী করে সংক্রমণ?
মূলত কো–মর্বিড রোগীরাই এর শিকার হতে পারেন। অতিরিক্ত ব্লাড সুগার, কম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, লাগাতার স্টেরয়েড ব্যবহার, আইসিইউ–তে দীর্ঘদিন থাকা ইত্যাদি কারণে এই ইনফেকশন থাবা বসাতেপারে।
অসুস্থতার উপসর্গ কী?
মন্ত্রী জানান চোখের চারপাশে লাল ভাব ও ব্যথা, জ্বর, মাথাব্যথা, কাশি, শ্বাসকষ্ট, নাক বন্ধ হয়ে আসা, রক্তবমি এবং মানসিক অস্থিরতা এই রোগের লক্ষণ। সামান্যতম উপসর্গ দেখা দিলেও কালবিলম্ব নাকরে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ব্লাড সুগারের রোগীদের নিয়মিত রক্তে শর্করার মাত্রা মাপতে হবে।ইচ্ছেমতো স্টেরয়েড ব্যবহার করা যাবে না।
করোনা থেকে সেরে ওঠার পথে বা করোনামুক্তির পরেও মিউকরমাইকোসিসে আক্রান্ত হয়েছেন বেশক’জন। তারপরেই আলোচনা শুরু হয়েছে এই অসুখ নিয়ে। বর্তমানে মহারাষ্ট্রে এমন হাজার দুয়েক রোগীআছেন বলে জানান মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপে। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়তেথাকায় এই রোগীও বাড়বে বলে তাঁর আশঙ্কা।