Onlooker desk: কোভিশিল্ড (Covishield) টিকার (vaccine) দু’টি ডোজের মধ্যে ফারাক বাড়ানো নিয়ে বিতর্ক চরমে। টিকার ঘাটতিতে পর্যাপ্ত জোগান দিতে পারবে না। সেই কারণেই কেন্দ্র দুই ডোজের মধ্যে ফারাক বাড়াচ্ছে বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন (Harsh Vardhan)। তিনি জানালেন, ফারাক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ‘স্বচ্ছ ও বৈজ্ঞানিক।’ কোভিড ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রধান এন কে অরোরারও এক মত।
আগে কোভিশিল্ডের (Covishield) দুই ডোজের মধ্যে ৬ থেকে ৮ সপ্তাহের ফারাক ছিল। সেটাই বাড়িয়ে ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ করা হয়েছে।
এ নিয়ে টুইটে নিজেদের অবস্থান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন (Harsh Vardhan)। তিনি লেখেন — কোভিশিল্ডের (Covishield) দুই ডোজের ফারাক স্বচ্ছ ভাবে বৈজ্ঞানিক তথ্যের ভিত্তিতেই নেওয়া। ডেটা মূল্যায়নে ভারতের পরিকাঠামো বিপুল। এ রকম একটি জরুরি বিষয় নিয়েও রাজনীতি হচ্ছে। তা দুর্ভাগ্যজনক।
টুইটের সঙ্গে এন কে অরোরার একটি বিবৃতি যোগ করেন হর্ষ বর্ধন (Harsh Vardhan)। ওই বিবৃতিতে অরোরা ইংল্যান্ডের একটি সমীক্ষা তুলে ধরেছেন। সেখানে দেখানো হয়েছে, ১২ সপ্তাহের ফারাকে টিকার কার্যকারিতা ৬৫ থেকে ৮৮ শতাংশ। ইংল্যান্ডে দুই ডোজের মধ্যে ১২ সপ্তাহের ফারাক রাখা হয়েছিল। তখন তারা আলফা ভ্যারিয়ান্টের মোকাবিলা করছিল। তা দেখেই দেশে দুই ডোজের ফারাক বাড়ানো হয়। অরোরার দাবি, ফারাক বাড়ানো হলে টিকার (vaccine) কার্যকারিতা বাড়ে। তাঁর বক্তব্য, ‘কোভিড ওয়ার্কিং গ্রুপে কেউ এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেননি। একটি বৈঠকে তা নিয়ে চুলচেরা আলোচনা হয়। প্রস্তাব ছিল, ফারাক বাড়িয়ে ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ করা হোক।’
ঘটনাচক্রে একটি সংবাদসংস্থায় অন্য কথা বলেছেন তিন বিশেষজ্ঞ। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন এম ডি গুপ্তে। সরকারি সংস্থা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ এপিডেমিয়োলজির প্রাক্তন অধিকর্তা তিনি। গুপ্তে জানান, ফারাক ৮ থেকে ১২ সপ্তাহ করা নিয়ে আলোচনা হয়। তাঁর কথায়, ‘আমরা ৮ থেকে ১২ সপ্তাহের পক্ষে ছিলাম। ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহটা সরকারের মস্তিষ্কপ্রসূত। এটা ঠিক, ভুল দুইই হতে পারে। আমাদের কাছে এ ব্যাপারে তথ্য নেই।’
ওই বৈঠকে ছিলেন ম্যাথু ভার্ঘিস। তিনিও জানান, টিকায় (vaccine) ৮ থেকে ১২ সপ্তাহ ফারাকের সুপারিশ করা হয়েছিল। একই কথা জানিয়েছেন আর এক সদস্য জে পি মুলিয়িল। তবে এ নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি অরোরা।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে এ নিয়ে মুখ খোলেন অ্যান্টনি ফাউচি (Anthony Fauci)। তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্টের মেডিক্যাল উপদেষ্টা। ফাউচির মতে, টিকার (vaccine) দুই ডোজের ফারাক বাড়ালে নতুন স্ট্রেনে সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ে। এই নতুন স্ট্রেন বেশি সংক্রামক। কিন্তু জোগান খুব অল্প হলে অন্য উপায় নেই বলেও জানান ফাউচি (Anthony Fauci)।
টিকার ডোজের ফারাক নিয়ে সাফাই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর, উল্টো সুর বিশেষজ্ঞদের
