Onlooker desk: দেশে এ পর্যন্ত প্রায় ৯ হাজার মানুষ ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকরমাইকোসিসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে শনিবার জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সদানন্দ গৌড়া। করোনার পাশাপাশি ব্ল্যাক ফাঙ্গাসও ক্রমশ থাবা ছড়ানোয় আক্রান্ত রাজ্যগুলিতে অতিরিক্ত ২৩ হাজার ভায়াল অ্যাম্ফোটেরিসিন-বি ওষুধ পাঠানো হয়েছে বলেও টুইট করে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় রাসায়নিক ও সার মন্ত্রী সদানন্দ। এই রোগে এ পর্যন্ত নির্দিষ্ট ভাবে ৮,৮৪৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন ও ২৩ হাজার ৬৮০ ভায়াল ওষুধ পাঠানো হয়েছে বলে টুইটে জানান তিনি।
এ দিনই আবার কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী চিঠি লিখে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের পর্যাপ্ত ওষুধের বন্দোবস্ত করার আর্জি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। পাশাপাশি, আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে এই অসুখকে যুক্ত করার কথাও বলেছেন সনিয়া।
গুজরাট, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলঙ্গানায় একনও পর্যন্ত ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের দাপাদাপি সবচেয়ে বেশি। তবে পশ্চিমবঙ্গেও হানাদারি চালাচ্ছে সে। এই রাজ্যে পাঁচটি ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের কেস পাওয়া গিয়েছে। তার মধ্যে বৃহস্পতিবার রাতে মারা গিয়েছেন এক যুবতী। পশ্চিমবঙ্গে মিউকরমাইকোসিসে মৃত্যু এ-ই প্রথম। হরিদেবপুরের বাসিন্দা শম্পা চক্রবর্তীর (৩২) করোনা হয়েছিল। ভর্তি ছিলেন শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে। ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকরমাইকোসিসে আক্রান্ত হয়ে পড়েন তিনি। দুই অসুখেরই চিকিৎসা চললেও শেষরক্ষা হয়নি। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মৃত্যু হয় তাঁর। শম্পার স্বামী রাজু একটি দোকানে কাজ করেন। তাঁদের ১৩ বছরের একটি মেয়ে আছে।
ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে চোখ, নাক, চোয়াল, থেকে মস্তিষ্ক পর্যন্ত আক্রান্ত হয়। করোনা পরবর্তী অসুস্থতা হিসাবে প্রবল ভাবে চিন্তা বাড়াচ্ছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। তাকে মহামারী আইনের আওতায় আনা হয়েছে। দেশে অন্তত ১১টি সংস্থাকে এর ওষুধ তৈরির ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্র। করোনার চিকিৎসায় অতিরিক্ত স্টেরয়েড ব্যবহারে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
দেশে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের থাবা ন’হাজারের শরীরে, রাজ্যে প্রথম মৃত্যু কলকাতায়
