Onlooker desk: ব্যক্তিগত কাজে বাবা গিয়েছেন উত্তরপ্রদেশে, গ্রামের বাড়িতে। বাড়িতে মায়ের সঙ্গেছিল ছোট্ট ছেলে, বয়স এক বছরও না। মহারাষ্ট্রের পিম্পড়ি–চিঞ্চওয়াড়ের ভোসারি এলাকার যে চাউলেপরিবারটি থাকত, সেখানে গত সোমবার মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় বছর ২৯–এর সরস্বতী রাজেশকুমারকে। পাশে শুয়ে ছেলে, অভুক্ত। পুলিশের ধারণা তরুণী আত্মহত্যা করেছেন। দেহ সোমবার উদ্ধারহলেও মৃত্যু হয়েছে দিনদুয়েক আগে। এবং সেই গোটা সময়টাই না খেয়ে কাটাতে হয়েছে ওই দুধেরশিশুকে। এবং একবারের জন্যও কাঁদতে শোনা যায়নি তাকে!
দীঘি পুলিশ স্টেশনের ইনস্পেক্টর প্রকাশ জাধভ বলেন, ‘দেহের পাশে কিছু ওষুধ পাওয়া গিয়েছে।আমাদের সন্দেহ, ওই ওষুধ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন তরুণী। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ভিসেরাসংগ্রহ করা হয়েছে।‘
ঘটনাটি সোমবারের হলেও জানাজানি হয় শুক্রবার। প্রকাশ বলেন, ‘বন্ধ ঘর থেকে দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে বলেআমাদের খবর দেন প্রতিবেশীরা। দরজা ভেঙে ঢুকে মহিলার দেহ উদ্ধার করি আমরা।‘
পুলিশ জানিয়েছে, পরিবারটি ওই ঘরে ভাড়া থাকত। ঘরটির মালিক থাকেন একটু দূরে। কিন্তু তাঁরপরিবারে কোভিড ধরা পড়ায় কিছুদিন সেখানে আসেননি তিনি। প্রতিবেশীরাও প্রথমে কিছু ঠাহর কোর্টেপারেননি। কিন্তু দুর্গন্ধ বেরোতে থাকায় সন্দেহ হয় তাঁদের।
এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘ঘরটি বন্ধই থাকতো, সে ভাবে কারও সঙ্গে মেলামেশা করত না ওইপরিবার। শিশুটিও একবারের জন্য কাঁদেনি. প্রতিবেশীরা তাই বিষয়টি নিয়ে মাথা ঘামাননি। কিন্তুআশ্চর্যের বিষয় হলো, শিশুটি মায়ের পাশে চুপ করে শুয়ে ছিল। দিনদুয়েক কিচ্ছু খায়নি সে।‘
তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সুশীলা গাভালে ও রেখা ওয়াজে নামে দুইকনস্টেবল শিশুটিকে দুধ বিস্কুট খাওয়ান। পরে দীঘি এলাকারই একটি ক্রেশে রাখা হয় তাকে।