Onlooker desk: লস্কর ই তৈবার (Lashkar E Taiba) অন্যতম বড় নেতা খতম হলো পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে। তার নাম মুদাসির পণ্ডিত (Mudasir Pandith)। এ ছাড়াও মারা গিয়েছে দুই জঙ্গি। জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) সোপোরে (Sopore) সন্ত্রাসবাদ বিরোধী অভিযানে এই সাফল্য পেয়েছে পুলিশ। খতম তিন জঙ্গির মধ্যে একজন পাকিস্তানি।
উত্তর কাশ্মীরের বারামুলার সোপোরে (Sopore) পুলিশি অভিযান শুরু হয় রবিবার রাতে। এলাকার নাম গুন্ড ব্রাথ। কাশ্মীরের ইনস্পেক্টর জেনারেল বিজয় কুমার এ কথা জানিয়েছেন। পুলিশ জানতে পারে, ওই এলাকায় তিন জঙ্গি গা-ঢাকা দিয়েছে। তাদের মধ্যে পণ্ডিতও (Mudasir Pandith) রয়েছে। সেই খবরের সূত্রে তারা এলাকা ঘিরে ফেলে। তবে অভিযান শুরু হয় রবিবার বেশি রাতে। কর্ডন করে চলে তল্লাশি। অভিযানকারী দলে পুলিশ ছাড়াও ছিল সেনাবাহিনী ও সিআরপিএফ। রাতভর চলে অভিযান। সঙ্গে গুলি ও পাল্টা গুলি। জঙ্গিরা অবশ্য শেষরক্ষা করতে পারেনি। নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে খতম হয় তারা।
পরে একটি টুইট করেন বিজয় কুমার। সেখানে জানান, মুদাসির পণ্ডিতের (Mudasir Pandith) বিরুদ্ধে একাধিক খুনের অভিযোগ রয়েছে। তার মধ্যে তিন জন পুলিশকর্মী, দু’জন কাউন্সিলর এবং দু’জন নাগরিক রয়েছেন। আরও বেশ কিছু জঙ্গি কার্যকলাপে অভিযুক্ত ছিল সে। সোপোরের এনকাউন্টারে লস্কর ই তৈবার (Lashkar E Taiba) অন্যতম বড় সেই জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে।
নিরাপত্তা বাহিনী বহু কেসেই খুঁজছিল মুদাসিরকে (Mudasir Pandith)। তার মধ্যে রয়েছে দু’জন বিজেপি কাউন্সিলরের হত্যা। এবং সোপোরে একটি মিটিং চলাকালীন এক পুলিশকর্মীকে মারা। এ বছর মার্চেই মারা গিয়েছেন ওই পুলিশকর্মী।
গত সপ্তাগেও সোপোরে (Sopore) জঙ্গি কার্যকলাপ চালায় এরা। তাতে প্রাণ হারান দুই পুলিশকর্মী ও দু’জন সাধারণ নাগরিক। পুলিশের অভিযোগ, তাতেও পণ্ডিত (Mudasir Pandith)ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের হাত ছিল। পণ্ডিতের মৃত্যু এলাকাবাসীর জন্য বড় স্বস্তি বলে জানাচ্ছেন পুলিশকর্তারা।
এ দিকে, হত তিন জঙ্গির একজন পাকিস্তানি। সে ২০১৮ থেকে জঙ্গি কার্যকলাপে জড়িত। তার নাম আসরার ওরফে আবদুল্লাহ। হত তৃতীয় জঙ্গির পরিচয় এখনও জানা যায়নি বলে পুলিশ সূত্রের দাবি।
তবে স্থানীয়রা তাকে শনাক্ত করছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, তৃতীয় জঙ্গির নাম খুরশিদ আহমেদ মীর। সে সোপোরের ব্রাথ কালানের বাসিন্দা।
জানা গিয়েছে, মুদাসিরের খোঁজ দিলে ১০ লক্ষ টাকা ইনামের ঘোষণা করা হয়েছিল। তবু তাকে ধরতে কালঘাম ছুটছিল পুলিশের।