Onlooker desk: ভারতে পাওয়া কোভিড টিকার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দামের তুল্যমূল্য বিচার করে রিপোর্ট দমা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রকে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু নথি জমা করতে বলেছে সর্বোচ্চ আদালত, যার মধ্যে টিকা কেনার পুরো বিষয়টি লেখা রয়েছে (পারচেজ হিস্ট্রি)।
বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি এল এন রাও ও বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাটের বেঞ্চ কেন্দ্রের কাছে টিকাকরণ প্রক্রিয়ায় ‘ডিজিটাল বিভেদ’ প্রসঙ্গে জানতে চান। যেমন, কোউইন অ্যাপে নাম নথিভুক্তির সিদ্ধান্ত গ্রামাঞ্চলের টিকাকরণকে প্রভাবিত করবে বলে বিচারপতিদের আশঙ্কা। কারণ সেখানে প্রযুক্তির সুযোগ শহরের তুলনায় কম। তা ছাড়া, এ বছরের মধ্যে সকলের টিকাকরণের যে আশ্বাস কেন্দ্র দিচ্ছে, তার পরিকল্পনাও জানাতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ৩০ জুন ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে।
দেশে যে তিনটি টিকার প্রয়োগ ঘটানো হচ্ছে তার মধ্যে কোভিশিল্ড ও রাশিয়ার স্পুটনিক ভি অন্য দেশেও বিক্রি করা হয়। রাজ্যগুলিকে কোভিশিল্ডের প্রতি ডোজ ৩০০ টাকা দিয়ে কিনতে হয়, বেসরকারি হাসপাতালের ক্ষেত্রে দাম ৬০০ টাকা। আর কেন্দ্রের কাছে তা বিক্রি করা হয় ডোজপ্রতি ১৫০ টাকায়। আগামী সপ্তাহে স্পুটনিক ভি দেওয়া শুরু হবে বেসরকারি হাসপাতালে, তার প্রতি ডোজের দাম হবে ১,১৯৫ টাকা। দেশের বাজারে বিক্রি হওয়া তৃতীয় ভ্যাকসিন কোভ্যাক্সিন আন্তর্জাতিক বাজারে পাওয়া যায় না।
একে দামের তারতম্য। অন্যদিকে ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সিদের জন্য প্রয়োজনীয় ডোজের পুরোটাই কেন্দ্রের কাছে বিনামূল্যে পাওয়ার বদলে ৫০ শতাংশ সরাসরি প্রস্তুতকারী সংস্থার কাছ থেকে কিনতে হচ্ছে রাজ্যগুলিকে। অথচ ৪৫ ঊর্ধ্বদের ক্ষেত্রে তা বিনামূল্যেই দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক দেখা দেয়। সুপ্রিম কোর্ট এই পদ্ধতিকে ‘হঠকারী ও যুক্তিহীন’ বলেছে।
ভারতীয় টিকার ঘরে-বাইরে দাম কত? জানতে চায় সর্বোচ্চ আদালত
