Onlooker desk: আগামী বৃহস্পতিবার পেগ্যাসাস (Pegasus) নিয়ে আবেদনের শুনানি করবে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court of India)। প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা ও বিচারপতি সূর্য কান্তের বেঞ্চ এই আবেদনগুলির শুনানি করবে।
ইজরায়েলি সংস্থা এনএসও গ্রুপের তৈরি স্পাইওয়্যার পেগ্যাসাসে সাংবাদিক, বিরোধী নেতা থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের ফোন পর্যন্ত আড়ি পাতার টার্গেট লিস্টে ছিল বলে অভিযোগ।
সিনিয়র সাংবাদিক এন রাম ও শশী কুমার, সিপিএম সাংসদ জন ব্রিটাস এবং আইনজীবী এম এল শর্মা সর্বোচ্চ আদালতের কাছে পৃথক পৃথক আবেদন দাখিল করেছেন। তাঁদের প্রশ্ন, সরকারের কাছে পেগ্যাসাসের লাইসেন্স আছে? নাকি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে নজরদারির উদ্দেশ্যেই স্পাইওয়্যার ব্যবহার করা হচ্ছিল? সরকারকে তা জানাতে নির্দেশ দিক সুপ্রিম কোর্ট।
আবেদনগুলিতে বলা হয়েছে, পেগ্যাসাস (Pegasus) স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে আড়ি পাতার জন্য ভারতের ১৪২ জনের নামের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। একটি আন্তর্জাতিক মিডিয়া তদন্তে এ কথা জানা গিয়েছে। তদন্তের আওতায় বেশ কিছু প্রথম সারির প্রকাশনা সংস্থাও ছিল। এ দিকে পেগ্যাসাস সফ্টওয়্যার কোনও দেশের সরকার বাদে কারও কাছে বিক্রি করা হয় না।
৪০ জন সাংবাদিক, প্রাক্তন ইলেকশন কমিশনার, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর (পিকে), দু’জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বহু মানুষের নাম আড়ি পাতার টার্গেট লিস্টে রয়েছে বলে খবর।
গত ১৮ জুলাই পেগ্যাসাস (Pegasus) বিতর্ক প্রথম সামনে আসে। তার পরদিন, ১৯ জুলাই শুরু হয় সংসদের বাদল অধিবেশন। সে দিন থেকে এই বিতর্ক নিয়ে আলোচনা চাইছেন বিরোধীরা। সুপ্রিম কোর্টের কোনও বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্তও দাবি করা হচ্ছে।
কিন্তু সরকার তদন্তের দাবি খারিজ করে দিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের পাল্টা দাবি, কোনও সংস্থা কারও ফোনে আড়ি পাতেনি। নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তির ফোনে আড়ি পাতার অভিযোগ একেবারেই মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
কিন্তু বিরোধীরা এ কথা মানতে একেবারেই রাজি নয়। পেগ্যাসাস (Pegasus) ইস্যুতে সংসদের দুই কক্ষেই অধিবেশন ব্যাপক ভাবে ব্যাহত হয়েছে। শনিবার সরকার জানিয়েছে, এই ব্যাঘাতের জেরে করদাতাদের ১৩৩ কোটি টাকা নষ্ট হয়েছে।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দলীয় সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে জানিয়েছিলেন, কংগ্রেসই সংসদ চলতে দিচ্ছে না। তাদের স্বরূপ মানুষের সামনে আনতে হবে।
দ্য ওয়্যার-সহ একাধিক সংবাদমাধ্যম জানায়, দেশের ৩০০-রও বেশি ফোন আড়ি পাতার টার্গেট লিস্টে রয়েছে। তবে সব ফোনই হ্যাক হয়েছিল কি না, তা নিশ্চিত নয়। লিস্টে নাম থাকলেও সেই নম্বর আড়ি পাতা হয়েছেই, এমনটা বলা যাবে না। যদিও ফরেন্সিক তদন্তে বেশ কিছু ফোনে আড়ি পাতার অভিযোগ মিলেছে।
ইজরায়েলি গোষ্ঠা এনএসও গ্রুপ বারবারই দাবি করেছে, তারা এই বিতর্কের সঙ্গে জড়িত নয়। অপরাধ দমনের উদ্দেশ্যেই তাদের সফ্টওয়্যার।
Theonlooker24x7.com–র সব খবরের নিয়মিত আপডেট পেতে লাইক করুন ফেসবুক পেজ ও ফলো করুন টুইটার।