Onlooker desk: জঙ্গিহানায় প্রাণ গেল এক পুলিশ অফিসার, তাঁর স্ত্রী ও ২২ বছরের মেয়ের। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে কাশ্মীরের পুলওয়ামা (Pulwama) জেলার হরিপরিগামে।
পুলিশ অফিসারের বাড়িতে জোর করে ঢুকে নির্বিচার গুলিবর্ষণ শুরু করে জঙ্গিরা। রাতেই মারা যান ওই অফিসার ও তাঁর স্ত্রী। মেয়েকে অনন্তনাগের সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। সোমবার সকালে সেখানে মারা যান তিনিও।
হত ওই স্পেশ্যাল পুলিশ অফিসারের (এসপিও) নামে ফৈয়াজ আহমেদ। পুলিশের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, এলাকাটি কর্ডন করে তল্লাশি অভিযান চলছে।
এই ঘটনার কড়া নিন্দা করেছেন জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা। টুইটে তিনি লেখেন — এই নৃশংস জঙ্গিহানার কড়া নিন্দা করছি। এটা কাপুরুষদের কাজ। যারা হিংসা ছড়াচ্ছে, তাদের শীঘ্রই শাস্তি দেওয়া হবে। শহিদের পরিবারের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা জানাই।
বিজেপির মুখপাত্র আলতাফ ঠাকুরও এই ঘটনার সমালোচনা করেছেন। একে কাপুরুষোচিত এবং বর্বরোচিত বলে চিহ্নিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘বাড়িতে জোর করে ঢুকে এ ভাবে নির্বিচার হত্যা সন্ত্রাসবাদ ছাড়া কিছু নয়।’ কোনও সমালোচনাই এই ঘটনার জন্য পর্যাপ্ত নয় বলে তিনি দাবি করেন। দোষীদের ভাগ্যেও এ ভাবে মৃত্যু লেখা বলে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আলতাফ।

পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলছেন কাশ্মীর পুলিশের আইজি — ছবি টুইটার
তাঁর কথায়, ‘ফৈয়জ আহমেদের নিরীহ স্ত্রী ও মেয়ের কী দোষ ছিল? মহিলাদের মারা কোনও সাহসিকতা নয়। একেবারেই কাপুরুষের কাজ। যার বিরুদ্ধে সবরকম ভাবে সোচ্চার হওয়া উচিত।’ এলাকায় যৌথ অপারেশন চালাচ্ছে পুলিশ ও সেনা। উপত্যকায় হামলার তালিকায় এই ঘটনা নবতম সংযোজন।
গত ২৩ জুনও গুলি করে এক দোকানদারকে হত্যা করে দুষ্কৃতীরা। সেটা ঘটেছিল শ্রীনগরে। কেলাশপোরার বাসিন্দা ওই ব্যক্তির নাম উমর নাজির ভাট। মোবাইল ফোনের দোকান তাঁর। পুরোনো শহরের হাব্বা কদলের মেন চকে তাঁর দোকানের ভিতরেই উমরকে হত্যা করা হয়।
তার আগের দিনই মারা যান আর এক পুলিশ অফিসার। শ্রীনগরের কাছে নওগামে হত্যা করা হয় তাঁকে। অনুমান, এই ঘটনাতেও হাত জঙ্গিদের। সেই ইনস্পেক্টরের নাম পারভেজ আহমেদ। তিনি পুলিশের ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্টে (সিআইডি) ছিলেন।
তাঁকে দ্রুত শ্রী মহারাজা হরি সিং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু পুরোনো শহেরর ওই হাসপাতালের চিকিৎসক পারভেজকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তার এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই জঙ্গি-হামলায় মারা গেলেন সপরিবার ফৈয়াজ।