Onlooker desk: মাংস পরিবহণ ও বিক্রির ব্যবসার সঙ্গে জড়িত এক ব্যক্তিকে বেধড়ক মারধর করলস্বঘোষিত গোরক্ষকের দল। নিগৃহীতের ভাইয়ের অভি়োগের ভিত্তিতে এই রক্ষকদের বিরুদ্ধএ মামলারুজু করেছে পুলিশ। পাশাপাশি স্বেচ্ছায় নিগৃহীত মহম্হদ শাকিরের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করেছেউর্দিধারীরা। তাঁর বিরুদ্ধে প্রাণিহত্যা, সংক্রমণ ছড়ানোর মতো কাজ এবং লকডাউন ভঙ্গের ধারা দেওয়াহয়েছে। ঘটনাস্থল উত্তর প্রদেশের মোরাদাবাদ জেলার কাটঘর।
এলাকার এক পুলিশকর্তা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, শাকিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হলেও তিনিজামিনে মুক্ত। আপাতত তিনি বাড়িতেই আছেন। শাকিরের বিরুদ্ধে হামলায় যিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন বলেঅভিযোগ, সেই মনোজ ঠাকুরকে এখনও গ্রেপ্তার করা হয়নি। মোরাদাবাদের পুলিশ প্রধান প্রভাকরচৌধরি একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়েচএন — এক মাংস বিক্রেতাকে মারধরের ভিডিয়ো সামনেআসে। তা দেখে আমরা মামলা রুজু করি। পাঁচ–ছ’জন অভিযুক্তের নাম জানা গিয়েছে। তল্লাশি চলছে।অভিযুক্তদের শীঘ্রই ধরা যাবে।
পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে শাকিরের ভাই জানিয়েছেন, একটি স্কুটিতে ৫০ কিলো মোষের মাংসনিয়ে যাওয়ার সময়ে দাদাকে মনোজ ও তাঁর দলবল আটকান। শাকিরের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবিকরা হয় বলেও এফআইআরে জানানো হয়েছে। পুলিশের কাছে না–যাওয়ার হুমকি দিয়ে মারধর করা হয়ওই ব্যক্তিকে। ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে লাঠির বাড়ি মারতে মারতে মাটিতে ফেলে দেওয়া হচ্ছে ওইব্যক্তিকে।
এ দিকে, পুলিশ অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালানোর ফাঁকেই গোপন আস্তানা থেকে সংবাদমাধ্যমেরকাছে বিবৃতি পাঠিয়েছেন মনোজ। সেখানে তাঁর দাবি — ওই ব্যক্তিকে আটকাতে গেলে তিনি আমাদেরস্কুটি নিয়ে ধাক্কা মারেন। দুটো লাঠি দিয়ে একজনকে মারা অপরাধ, কিন্তু কাউকে মেরে ফেলার চেষ্টাঅপরাধ নয়। তাই তো? আমি গোহত্যা বন্ধ করার চেষ্টা করছি কিন্তু পুলিশ আমাকেই হুমকি দিচ্ছে।আমাকে তদন্তকারীদের একটি দল দেওয়া হলে এই চক্র ফাঁস করব।
এই ঘটনায় প্রবল ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। স্থানীয় সমাজবাদী পার্টির সাংসদ এল টি হাসান অবিলম্বেব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। গোহত্যা বন্ধের নামে এই হিংসা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।