Onlooker desk: স্কুল-কলেজ খুলতে চলেছে তেলঙ্গানায় (Telangana)। আগামী ১ জুলাই সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দ্বার খুলবে। ক্লাস হবে সশরীর।
দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রকোপ ক্রমশ কমছে। এই পরিস্থিতিতে সম্পূর্ণ আনলক ঘোষণা করেছে তেলঙ্গানা (Telengana)।
কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের সরকার এ প্রসঙ্গে একটি বিবৃতি জারে করেছে শনিবার। সেখানে তারা জানায় — আগামী ১ জুলাই সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সশরীর ক্লাস শুরু হবে। এই মর্মে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শিক্ষা দপ্তরকে।
গত বছর মার্চ থেকে দেশজুড়ে বন্ধ স্কুল-কলেজ। ল্যাপটপ বা স্মার্টফোনের মতো গ্যাজেট ও ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে অনলাইন ক্লাসের সুযোগ মিলেছে। কিন্তু লক্ষ লক্ষ ছেলেমেয়ে পড়াশোনার বৃত্তের বাইরেই থেকে গিয়েছে। এতে বিভাজন আরও বাড়বে বলে বারবার আশঙ্কা প্রকাস করা হয়েছে। তেলঙ্গানা (Telangana) সরকার জানিয়েছে, লকডাউনের কড়াকড়ি পুরোদস্তুর তুলে নেওয়া হলো।
মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর এ নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট করে। তাতে লেখা হয় — রাজ্য মন্ত্রিসভা লকডাউন পুরোপুরি তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। করোনা কেসের সংখ্যা, পজিটিভিটি হার উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে বলে মেডিক্যাল বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন। করোনা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে।
যদিও এই আত্মতুষ্টির কী কারণ, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কারণ শনিবারই এইমস প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া জানিয়েছেন, তৃতীয় ঢেউ অবশ্যম্ভাবী। আনলকে করোনা-বিধিতে ঢিলে দিলেই তা ভয়াবহ আকার নেবে। রাজ্যগুলিকে প্রয়োজনমতো কড়়াকড়ির নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিবও।
শুক্রবার তেলঙ্গানায় (Telangana) একদিনে করোনায় সংক্রামিত হন ১৪০০-র কিছু বেশি। এক দিনে মৃত্যু ১২। পজিটিভিটি রেট ১.১৪ শতাংশ। কঠোর লকডাউনের কারণেই এই ‘সাফল্য’ বলে মনে করা হচ্ছে।
কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের সরকার গত ৯ তারিখ আরও ১০ দিনের জন্য কড়াকড়ি বাড়িয়েছিল। এ বার তারা পুরোপুরি আনলকের পথে যাচ্ছে।
এ দিকে, পশ্চিমবঙ্গে শনিবার একদিনে সংক্রমণ আরও কিছুটা কমলো। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে ২ হাজার ৪৮৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গিয়েছেন ৫৫ জন। তবে চিন্তা বেড়েছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যায়। তা বেড়ে ২৩ হাজারের গণ্ডি পেরিয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের নিরিখে সবার উপরে উত্তর ২৪ পরগনা। তার পরে পূর্ব মেদিনীপুর। কলকাতাকে সরিয়ে উঠে এসেছে সে।
মৃত্যুর সংখ্যায় সবার উপরে নদিয়া (১২)। উত্তর ২৪ পরগনা (১০), কলকাতা (৯), দার্জিলিং (৫), হুগলি (৪) ছাড়া জলপাইগুড়ি এবং হাওড়ায় ৩ জন করে মারা গিয়েছেন। সব মিলিয়ে রাজ্যে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ১৭ হাজার ২৯৫ জনের মৃ্ত্যু হয়েছে।
১ জুলাই স্কুল-কলেজও খুলে যাচ্ছে তেলঙ্গানায়
