Onlooker desk: জোরদার ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে এশিয়ার ‘টপ-পারফর্মিং’ মুদ্রা হয়ে উঠল ভারতীয় টাকা। একে ভাইরাসের দাপাদাপি কমার চিহ্ন হিসাবেই দেখা হচ্ছে। ডলারের প্রেক্ষিতে টাকার মূল্য দেড় শতাংশ বেড়ে আশপাশের অন্যান্য দেশের মুদ্রাকে পিছনে ফেলে দিয়েছে। করোনা সংক্রমণ শিখরে পৌঁছে কমতে শুরু করার ফলেই টাকা আগের তুলনায় শক্তিশালী হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
কিন্তু এতে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের উদ্বেগ পুরোপুরি যাচ্ছে না। কারণ অর্থনৈতিক মন্দার বাজারে
টাকার দাম বাড়ার প্রভাব রপ্তানির উপরে পড়তে পারে। প্রয়োজনে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক মুদ্রার দাম বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে রাখতেও কিছু পদক্ষেপ করতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের মত।
করোনার সংক্রমণ বাড়ায় এপ্রিলে টাকার দাম তলানিতে ঠেকেছিল। কিন্তু বিভিন্ন রাজ্যে লকডাউন, কড়াকড়ির জেরে সোমবার, প্রায় দেড় মাস বাদে দৈনিক সংক্রমণ ২ লক্ষের নীচে নেমেছে। আর ক্রমশ শক্তি বাড়িয়েছে টাকা।
তা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ কিছু সংস্থা বাজারে শেয়ার ছাড়তে চলেছে। বিনিয়োগকারীরা তখন ডলার বদলে টাকায় কনভার্ট করতে চাইবেন। তাতে চাহিদা আরও বাড়বে। টাকার দামও চড়বে।
বর্তমানে ১ ডলারের দাম ৭৩ টাকা। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক হস্তক্ষেপ না করলে এবং পরিস্থিতি এমনই থাকলে ভারতীয় মুদ্রার দাম বেড়ে ১ ডলার ৭২.৫০ টাকা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
কমছে করোনা, এশিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী মুদ্রা হয়ে উঠল ভারতীয় টাকা
