Onlooker desk: প্রবল বিক্ষোভ–বিতর্কের মাঝে একরকম বাধ্য হয়েই অ্যালোপ্যাথি নিয়ে নিজের মন্তব্যপ্রত্যাহার করলেন যোগ গুরু রামদেব। তার আগে অবশ্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন তাঁর উদ্দেশে লেখাদু’পাতা চিঠিতে জানান, যোগ গুরুর মন্তব্যে দেশের মানুষ অত্যন্ত ব্যথিত। নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়েযে চিকিৎসক–স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনাকালে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন, মানুষ তাঁদের ভগবান বলে মনেকরে। টেলিফোনেও আপনার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে।
এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে চিঠি উল্লেখ রেখেই নিজের মন্তব্য প্রত্যাহারের কথা টুইট করে জানান রামদেব।তার আট মিনিটের মধ্যে অবশ্য ফের একটি টুইট করেন। লেখেন — যোগ এবং আয়ুর্বেদ আমাদেরপরিপূর্ণ জীবন দেয়। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। যা উপসর্গ দেখে চিকিৎসাকরে আর যোগ–আয়ুর্বেদের চিকিৎসা সুপরিকল্পিত।
মন্তব্য প্রত্যাহার করলেও ভাবনাচিন্তা থেকে যে এক ফোঁটাও সরেননি, দ্বিতীয় টুইটে সেটাই স্পষ্ট হয়েছেবলে মনে করছেন অনেকে। হর্ষ বর্ধন অবশ্য রামদেবের আচরণকে ‘পরিণত’ বলে চিহ্নিত করেছেন। তাঁরটুইট — রামদেব যে ভাবে নিজের মন্তব্য প্রত্যাহার করে বিতর্কে দাঁড়ি টানলেন, তা প্রশংসনীয় ও ওঁরপরিণত চরিত্রের পরিচায়ক।
সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে অ্যালোপ্যাথিকে বুদ্ধিহীন, দেউলিয়া বিজ্ঞান বলে কটাক্ষ করেন বিতর্কিত এইযোগ গুরু। দেশে চিকিৎসা ও অক্সিজেনের অভাবে যত মানুষ মারা গিয়েছেন, তার চেয়ে অনেক বেশিলোকের আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের কারণে মৃত্যু হয়েছে বলে মন্তব্য তাঁর। রামদেবের এই বক্তব্যেরভিডিয়ো ভাইরাল হতেই প্রবল ক্ষোভ দানা বাধে চিকিৎসক মহলে।
ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ) তাঁকে আইনি নোটিস ধরিয়ে মন্তব্য প্রত্যাহার করতেবলে। রামদেবের সংস্থা পতঞ্জলি খানিক ব্যাকফুটে গিয়ে বলার চেষ্টা করে বাবাজির কথার অপব্যাখ্যাহচ্ছে। অপ্রাসঙ্গিক ভাবে ভিডিয়োর একটি অংশ দেখানো হচ্ছে। তিনি একটি হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা পড়েশোনাচ্ছিলেন। কিন্তু এ সবে চিঁড়ে ভেজেনি। শেষ পর্যন্ত বিতর্কে ইতি টানতে ঢোঁকই গিলতে হলোরামদেবকে।