Onlooker desk: মান বজায় রাখতে না-পারার অভিযোগে অতীতে বিতর্ক তৈরি হয়েছে তাঁর সংস্থা ‘পতঞ্জলি’র সামগ্রী নিয়ে। এ বার অ্যালোপ্যাথি-সহ আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানকেই কাঠগড়ায় তুলে বিতর্কে জড়িয়েছেন যোগ গুরু রামদেব। এ বার অবশ্য আর বিতর্কে সীমাবদ্ধ নেই বিষয়টা। তাঁকে একেবারে আইনি নোটিস পাঠিয়ে লিখিত ক্ষমাপ্রার্থনা ও নিজের বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে ভারতীয় চিকিৎসকদের সবচেয়ে বড় সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)।
সম্প্রতি একটি ভাইরাল ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, এক অনুষ্ঠানে রামদেব বলছেন, ‘চিকিৎসা বা অক্সিজেন না-পেয়ে যত মানুষ মারা গিয়েছেন, তার চেয়ে অনেক বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসার জন্য। লক্ষ লক্ষ মানুষের এ জন্য মৃত্যু হয়েছে।’ অভিযোগ, অ্যালোপ্যাথিকে তিনি ‘বুদ্ধিহীন, দেউলিয়া’ বিজ্ঞান বলেও কটাক্ষ করেন। যদিও এই ভিডিয়োর সত্যাসত্য TheOnlooker24X7 যাচাই করেনি।
এ দিকে, ভিডিয়োর জেরে প্রবল বিতর্ক দেখা দিতেই খানিক ব্যাকফুটে পতঞ্জলি। তাদের দাবি, ভিডিয়োটি এডিট করে যোগ গুরুর বক্তব্য অপ্রাসঙ্গিক ভাবে দেখানো হচ্ছে। গেরুয়াধারী বাবার আধুনিক বিজ্ঞান ও চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে কোনও বক্তব্য নেই। পতঞ্জলির দাবি, ‘এটা জানানো জরুরি যে ওই অনুষ্ঠানটা বেসরকারি উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছিল এবং স্বামীজি (রামদেব) তাঁর ও অন্য অংশগ্রহণকারীদের কাছে আসা একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ পড়ে শোনাচ্ছিলেন। তারপরে ওঁর নামে যে সব বলা হচ্ছে তা মিথ্যা ও অবমাননাকর।’ হরিদ্বারের এই সংস্থার আরও ব্যাখ্যা, ‘রামদেব বিশ্বাস করেন যে অ্যালোপ্যাথি অত্যন্ত প্রগতিশীল একটি বিজ্ঞান। এই কঠিন সময়ে অ্যালোপ্যাথি, আয়ুর্বেদ ও যোগ সকলেরই সহায়ক হবে।’
যদিও এ সবে লাভ বিশেষ হয়নি। আইএমএ-র পাশাপাশি অন্য একটি সংগঠন ফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন-ও রামদেবকে আইনি নোটিস ধরিয়েছে। আইএমএ আগেই স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কাছে আবেদন জানিয়েছিল, না জেনে এ ধরনের ভুলভাল মন্তব্য করার জন্য রামদেবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। নিজের সংস্থার তৈরি ‘বিস্ময় ওষুধ’ রিলিজ করার সময়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনের (যিনি নিজেও একজন চিকিৎসক) সামনে ডাক্তারদের ‘খুনি’ পর্যন্ত বলেছিলেন বলে বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়েছে আইএমএ।
বিজেপির ঘনিষ্ঠ রামদেব করোনা মহামারী নিয়ে আগেও বিতর্ক খুঁচিয়ে তুলেছিলেন। হর্ষ বর্ধন ও নীতিন গড়করির উপস্থিতিতে করোনিল নামে করোনা চিকিৎসার ওষুধ লঞ্চ করেছিলেন তিনি। পরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) স্পষ্ট করে জানায়, তারা এ ধরনের কোনও ওষুধকে যাচাই করা বা শংসাপত্র দেওয়ার কাজ করেনি। অথচ রামদেবের দাবি ছিল, হু তাঁর সংস্থার ওষুধকে ছাড়পত্র দিয়েছে।
অ্যালোপ্যাথি ‘বুদ্ধিহীন, দেউলিয়া’ বিজ্ঞান, রামদেবকে আইনি নোটিস আইএমএ-র
