Onlooker desk: আজ, সোমবার শুরু হল সংসদের বাদল অধিবেশন। শুরুতেই তুমুল হই-হট্টগোলে দুপুর ২টো পর্যন্ত অধিবেশন মুলতুবি করতে হল।
মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যদের সঙ্গে সাংসদদের পরিচয় করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম, মন্ত্রিসভায় এতজন মহিলা, ওবিসি-সহ নানা ক্ষেত্রের মানুষের প্রতিনিধিত্বে কিচু উচ্ছ্বাস দেখতে পাব। কিন্তু মনে হয়, দেশের অনেকেই মহিলা বা পিছিয়ে পড়া শ্রেণির মানুষদের অগ্রগতিতে খুশি হন না।’
তাঁর বক্তব্যের মাঝেই প্রবল গট্টগোল শুরু করেন বিরোধী সাংসদরা। সজোরে স্লোগান দেওয়া শুরু হয়। গোলমালে অধিবেশন শুরুর ৩৫-৪০ মিনিটের মধ্যে তা মুলতুবি করে দেওয়া হয়।
রবিবার রাতেই দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে পেগ্যাসাস স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে আড়ি পাতা নিয়ে। ৪০ জন সাংবাদিকের ফোনে আড়ি পাতার অভিযোগ উঠেছে। কেন্দ্রীয় সরকার সেই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে।
রবিবারই আবার সর্বদলীয় বৈঠকে মোদী সব রকম আলোচনা, বিতর্ককে স্বাগত জানিয়েছিলেন। আজ অধিবেশন শুরুর আগে তিনি বললেন, ‘সমস্ত দল ও সাংসদদের অনুরোধ করব, সবচেয়ে কঠিন ও শানানো প্রশ্ন করুন কক্ষে। কিন্তু শৃঙ্খলাবদ্ধ পরিস্থিতিতে সেগুলোর উত্তরও দিতে দেবেন সরকারকে।’ সংসদ ভবন চত্বরেই সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের মুখে এ কথা বলেন মোদী। তাঁর সংযোজন, ‘এতে গণতন্ত্রের উন্নতি হবে, মানুষের আস্থা বাড়বে এবং উন্নয়নে গতি আসবে।’
পেগ্যাসাস স্পাইওয়্যার যে অধিবেশনের অন্যতম বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়াবে, সেটা রবিবারই মোটের উপর স্পষ্ট হয়ে যায়। আজ অধিবেশনে ঢোকার আগে লোকসভায় কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরী ইঙ্গিত দেন, এনিয়ে তাঁরা ছেড়ে কথা বলবেন না। সংবাদমাধ্যমে অধীর বলেন, ‘আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা সঙ্কটের মুখে। এই বিষয়টি অবশ্যই অধিবেশনে তুলব।’ পেগ্যাসাস নিয়ে আলোচনার জন্য রাজ্যসভায় সাসপেনশন অফ বিজনেসের নোটিস দিয়েছে সিপিআই।
তবে সরকারও এ নিয়ে কোমর বেঁধে তৈরি বলে সূত্রের খবর। তাদের দাবি, পেগ্যাসাস সংক্রান্ত অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তাই এর যথাযথ জবাব দিতে তারা প্রস্তুত।
প্রসঙ্গত, পেগ্যাসাস স্পাইওয়ার ইজরায়েলের একটি সংস্থার তৈরি করা। সরকার ছাড়া কারও কাছে তা থাকার কথা নয়। বিভিন্ন দেশের সরকারকে গোপনে নজরদারি চালাতে সহযোগিতা করে পেগ্যাসাস।
অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যসভা ও লোকসভা, দুই কক্ষেই ছ’টি নোটিস দিয়েছে। পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, কৃষি আইন প্রত্যাহার, টিকাকরণ সঙ্কটের সমাধান, অর্থনৈতিক উন্নয়নের মন্থর গতি ইত্যাদি ইস্যু তুলতে চলেছে তারা। পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এ দিন সাইকেলে সংসদ ভবনে হাজির হন তৃণমূলের সাংসদরা।
কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলা নিয়ে সরকারকে ভালোমতো নিশানা করতে চলেছে তৃণমূল। রবিবার টুইটে সাংসদ ডেরেক ও’ ব্রায়েন লেখেন — কোভিড নিয়ে ঠান্ডাঘরে বসে প্রধানমন্ত্রী বা তাঁর সরকারের পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন দেখতে চান না সাংসদর। সংসদের অধিবেশন শুরু হচ্ছে। কক্ষে দাঁড়িয়ে কথা বলুন।
রবিবার বলা হয়, পার্লামেন্টের অ্যানেক্সে দাঁড়িয়ে সাংসদদের উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু এতে আপত্তি জানান বহু সাংসদ। অধিবেশন চলাকালীন অ্যানেক্সে দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখা হলে নিয়ম ভাঙা হবে বলে জানান তাঁরা। ঠিক হয় কাল, মঙ্গলবার রাজ্যসভা ও লোকসভার সাংসদদের উদ্দেশে অতিমারী নিয়ে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী।
Theonlooker24x7.com–র সব খবরের নিয়মিত আপডেট পেতে লাইক করুন ফেসবুক পেজ ও ফলো করুন টুইটার।